কলকাতা: রামনবমীর (Ramnavami) মিছিল ঘিরে অশান্তি নিয়ে জল গড়াল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, রাজ্য সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরে গোলমালের ব্যাপারে ৫ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। আদালতের আরও নির্দেশ, সিসিটিভির (CCTV) এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিয়ো ফুটেজ (Footage) আদালতে জমা করতে হবে।
এর আগেই হাওড়ার শিবপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে একই ইস্যুতে গোলমাল হয় হুগলির রিষড়ায়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | পঞ্চায়েতের ডঙ্কা নিয়ে মমতা আজ পূর্ব মেদিনীপুরে, ব্রাত্য নন্দীগ্রাম
সোমবার আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানান, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলা পুলিশের অনুমতি নিয়েই রামনবমীর মিছিল করা হয়েছিল। পরে ওই মিছিল ঘিরে ব্যপক গোলমাল হয়। আইনজীবী জানান, এই ঘটনায় রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। রবিবার হুগলির রিষড়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিভঘ্ননম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানানতে চান, বর্তমানে কী পরিস্থিতি সেখানকার? পুলিশ কেন আগে থেকে গোলমালের আঁচ পায়নি।ওই সব ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আদালত তাও জানতে চায়।
আদালতে এজি জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে।হাওড়ার ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: গতবারও রামনবমীতে শিবপুরে একই ঘটনা ঘটেছিল। তাহলে পুলিশ এবার অনুমতি দিল কেন?
এজি: আবেদনকারীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে বলা হয়েছিল।
মামলাকারী আইনজীবী: আমরা ঘটনার এনআইএ তদন্ত চাই। পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে এজি জানান: উপদ্রুত এলাকাগুলিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে।
সওয়াল জবাব শেষে আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকারকে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ এপ্রিল।