কামদুনির গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় চলছে। তারই মাঝে এবার নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসনে মদ্যপান করিয়ে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ অবশ্য তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তরুণী এবং অভিযুক্তরা একই সংস্থার কর্মী।
আরও পড়ুন: বিপর্যয়ে বাংলা কেন কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার, প্রশ্ন মমতার
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর, ওই আবাসনে শুক্রবার রাতে সাপ্তাহিক পার্টি ছিল। সেখানেই সহকর্মীদের সঙ্গে মদ্যপান করেন ওই তরুণী। তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন। তারপরেই তাঁকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন।
তরুণীটি শনিবার সকালে টেকনো সিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন কৃষ্ণলাল রায়, জয়কিম ও রাহুল সরকার। একজনকে এন্টালি এবং অপর দুজনকে নিউটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টেকনো সিটি থানায় ওই তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। প্রত্যেকে একে অপরের পরিচিত। অভিযোগ, চেনা পরিচিতির সুযোগেই ওই যুবকেরা তাঁকে ধর্ষণ করেন।
গত নভেম্বর মাসেই রাজারহাটের এক রিসর্টে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীদের এক পার্টিতে এক তরুণকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করার পর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পার্টির পর অন্য একটি ঘরে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়। গভীর রাতে বিবস্ত্র অবস্থায় হুঁশ ফিরলে তিনি দেখেন ঘরে আর কেউ নেই। পরের দিন তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে। গত সপ্তাহে আদালত ওই চার জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীর বক্তব্য, তরুণীর বয়ানে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তরুণীর আইনজীবী ঝুমা সেন জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষায় শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ অবস্থায় অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।
দেখুন আরও খবর: