হরিহরপাড়া: নাবালিকা এক স্কুলছাত্রীকে (School Student) অপহরণ করে ধর্ষণ ও নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করার প্রক্রিয়া শুরু হল। ওই ছাত্রীর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এসএসকেএম এর হাসপাতালে চিকিৎসকদের দিয়ে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার সেই মৃতদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল।
হরিহরপাড়া থানার স্বরুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী গত ২২ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ২৭ জানুয়ারি ওই এলাকার একটি জমির মধ্যে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর। গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা, চোখ খুবলে নেওয়া সহ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পরিবারের পক্ষ থেকে। গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সাক্ষী লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহরমপুর মর্গের ময়নাতদন্তের পর ওই ছাত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার, নৃশংসভাবে খুন এমনকি খুবলে চোখ তুলে নেওয়ার উল্লেখ নেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের পুরনো ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: শৌভিক ভট্টাচার্যের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট
মামলাকারীদের আইনজীবী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং পকসো ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। নিহত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত রিপোর্ট নেই! তার মেয়ের হত্যাকারীদের তিনি ফাঁসি চান । অন্যদিকে ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ময়নাতদন্তে রিপোর্টে তার মেয়ের ওপর শারীরিক অত্যাচারের কোন ঘটনা উল্লেখ নাই। ফলে সঠিক বিচারের জন্য তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার মেয়ের মতো অন্য কোন পরিবারে যেন ওই নিশংস ঘটনা না ঘটে সেদিকে তাঁকিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চান তিনি। হাইকোর্টের রায়ে কলকাতার চিকিৎসকরা এসে সঠিক তদন্ত করবেন বলেই তিনি আশা করছেন । এদিকে ওই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত এক কিশোর এবং তার মাকে গ্রেফতার আগেই করেছে। তবে ওই কিশোরের বাবা পালিয়ে যাওয়ায় এখনও গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। আজ ওই ছাত্রীর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হল।
আরও খবর দেখুন