নয়াদিল্লি: ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনের (ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন) (BAS) পরিকল্পনা সম্পূর্ণ, ভারত সরকারের (Government of India) কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somanath)। একই সঙ্গে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) এবং নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকলের (NGLV) জন্য অনুমোদন চাওয়া হবে। পুরনো লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ এর জায়গায় কাজ করবে এনজিএলভি।
সোমনাথ বলেন, “ভারতীয় স্পেস স্টেশন কেমন হবে এবং নতুন এনজিএলভি কেমন দেখাবে, তার কাজ সম্পূর্ণ। চন্দ্রযান-৪ এর কনফিগারেশনও করা হয়েছে, কীভাবে চাঁদ থেকে নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে তারও পরিকল্পনা হয়েছে। আমরা একাধিক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এর পরীক্ষা করব কারণ, আমাদের বর্তমান রকেটের চাঁদে গিয়ে নমুনা নিয়ে ফিরে আসার ক্ষমতা নেই।”
আরও পড়ুন: রায়বেরেলী থেকে রাহুল গান্ধীর নির্বাচন বাতিলের জনস্বার্থ মামলার শুনানি মুলতবি
ইসরো চেয়ারম্যান এরপর বলেন, “এর জন্য আমাদের পৃথিবী এবং চাঁদ, দুইয়ের কক্ষপথে ডকিং সুবিধার প্রয়োজন। আমরা সেই সুবিধা গড়ে তুলছি। তার জন্য আমাদের মিশন ‘স্পেডেক্স’ (স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট) এ বছর পরীক্ষা চালাবে। চন্দ্রযান-৪ মিশনে ডকিং সিস্টেমের প্রয়োগ হবে। গবেষণা, অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা এবং ব্যয়ের হিসাব সহ একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। খুব শিগগিরই তা অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে যাবে।”
এনজিএলভি রকেটের ডিজাইন, কনফিগারেশন, আর্কিটেকচার, প্রোডাকশন প্ল্যান, খরচের হিসেব সহ একটি বিশদ রিপোর্ট তৈরি বলেও জানিয়েছেন সোমনাথ। অপেক্ষা শুধু সরকারি নিরীক্ষণ এবং অনুমোদনের। প্রসঙ্গত, গত বছর ২৪ অগাস্ট সোমনাথের নেতৃত্বে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মহাকাশযান ল্যান্ড করাতে সক্ষম হয় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে যান পাঠানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছিল ভারত এবং প্রথম দেশ হিসেবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও দুর্গম দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে সফল হয়।
দেখুন অন্য খবর: