নয়াদিল্লি: ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ কাণ্ডে (‘Bulli Bai’ app case) প্রধান ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস। ইন্টেলিজেন্স ফিউশন এবং স্ট্রাটেজিক অপারেশন ইউনিট তাঁকে অসম থেকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত নীরজ বিষ্ণুই (২০) অসমের জোড়হাটের দিগম্বর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র ছিলেন। এই মামলায় এর আগে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার (‘Bulli Bai’ app case) করেছে পুলিস। মুম্বই পুলিস ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
GitHub নামে একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মে কয়েক’শো মুসলিম মহিলার ছবি ‘নিলাম’-এর জন্য আপলোড করা হয়েছিল। প্রতিটি ছবিই নকল, মরফেড করে আপলোড করা। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরপরই মুম্বই পুলিস অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করে তদন্তে নামে। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই এ পর্যন্ত ৪ জন পুলিসের জালে ধরা পড়ল।
‘বুল্লি বাই’ নামে অ্যাপটির ডেভেলপার ছাড়াও যে টুইটার হ্যান্ডল থেকে এটির প্রোমোট করা হচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর রুজু হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, অ্যাপে অকশনের জন্য কয়েক’শো মুসলিম মহিলার নামের একটি তালিকা ছবি-সহ আপলোড করা হচ্ছিল। কারও অনুমতি ছাড়াই মরফড ছবি সেখানে আপলোড করা হয়। ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিকে ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bulli Bai App: ‘বুল্লি বাই’ কাণ্ডে গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, উত্তরাখণ্ড থেকে আটক মহিলা
দিল্লির এক মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটির বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ করে৷ ওই মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ, অ্যাপে তাঁর বিকৃত ছবি ব্যবহার করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ মুম্বই সাইবার পুলিস অ্যাপটির বিষয়বস্তু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। নানামহল থেকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
#UPDATE | Neeraj Bishnoi (20), arrested by Delhi Police Special Cell's IFSO team in 'Bulli Bai' app case, is a resident of Digambar area of Assam's Jorhat. He is a BTech student of Vellore Institute of Technology, Bhopal: IFSO
— ANI (@ANI) January 6, 2022
সুল্লি ডিলস নামে একটি অ্যাপের ‘ক্লোন’ এই ‘বুল্লি বাই’। ‘সুল্লি ডিলস’ অ্যাপটিতেও মুসলিম মহিলাদের অজান্তে তাঁদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছিল। ওই ‘দিনের চুক্তি’ বলে প্রতিদিন নতুন নতুন মহিলার নাম ও ছবি সেখানে আপলোড করা হত। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিতর্কিত অ্যাপটি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তার পর বুল্লি বাই অ্যাপটি সামনে আসে। মুসলিম মহিলাদের ‘নিলাম’-এ তোলার এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
আরও পড়ুন: Bulli Bai app blocked : মুসলিম মহিলাদের ছবি ব্যবহার করে চলত নিলাম, বন্ধ হল বিতর্কিত অ্যাপ
যদিও এ ধরনের অ্যাপে বাস্তবিক কোনও অকশন বা বিক্রি হয় না। মহিলাদের হেনস্তা করাই চক্রীদের উদ্দেশ্য। মুম্বই পুলিসের তদন্তে জানা যায়, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকেই মহিলাদের ছবি চুরি করে আপলোড করা হচ্ছিল। হেনস্তার শিকার মহিলারা প্রত্যেকেই অ্যাকটিভ ইউজার্স।