কাতার বিশ্ব কাপের প্লে অফ ফাইনালে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ওয়েলস। এবং চলে গেল বিশ্ব কাপের মূল পর্বে। ১৯৫৮ সালে শেষ বার বিশ্ব কাপে খেলেছিল ওয়েলস। তার পর আবার ২০২২-এর বিশ্ব কাপে খেলবে। তাদের গ্রুপে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং ইংল্যান্ড।
রবিবার কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে ওয়েলস যে গোলটিতে জিতল তা এসেছে ইউক্রেনের ফুটবলারের মাথা থেকে। ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের উইঙ্গার আন্দ্রে ইয়ামালেঙ্কো। বল তাঁর মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়। ৩৪ মিনিটের এই গোলটাই ম্যাচের ফয়সালা করে দেয়। তবে হারলেও ইউক্রেন কিন্তু লড়াই করতে ছাড়েনি। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ওয়েলসের গোলকিপার ওয়েন হেনেসে একটার পর একটা সেভ করে দলকে গোল খেতে দেননি। তবে একবার ইউক্রেন বল গোলে পাঠিয়েছিল। একটা ফ্রি কিক থেকে ওলেকস্যান্ডার জিনচেঙ্কো বল গোলে পাঠান। কিন্তু স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেউ লাহোজ গোলটি বারিল করেন। কারণ তিনি বাঁশি বাজানোর আগেই জিনচেঙ্কো শট নিয়েছিলেন। এর আগে এবং পরে ওয়েলস গোলকিপার হেনেসে অনেকগুলো বল বাঁচান। ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে গোল পেয়ে যায় ওয়েলস। পঁচিশ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পায় ওয়েলস। কিন্তু গ্যারেথ বেলের ফ্রি কিক ইয়ামালেঙ্কো হেড করে ক্লিয়ার করতে গেলে বল গোলে ঢুকে যায়। ওয়েলসের জয়ের নায়ক তাদের গোলকিপার ওয়েন হেনেসে। একটার পর একটা গোল বাঁচিয়ে তিনি দেশকে বিশ্ব কাপের মূলপর্বে তুলে দিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে তাই গ্যালারির দর্শকরা তাঁর নামে গান বেঁধে গাইতে থাকেন। ম্যাচের শেষে ওয়েলসের কোচ রব পেজ বলেছেন, ” এই দিনটার জন্য গোটা দেশ বহু দিন ধরে অপেক্ষা করছিল। ওদের জন্য আমি গর্বিত। ফুটবলাররা এত দিন একটা বিষয়েই পিছিয়ে ছিল। সেটা হল বিশ্ব কাপ। এবার ওরা বিশ্ব কাপে খেলবে। আমার বিশ্বাস ওরা ভাল খেলবে।”
কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেল। তবে রিয়ালের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। উচ্ছ্বসিত বেল বলেছেন, ” যে রকম আনন্দ হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এই প্রথম বিশ্ব কাপে খেলব। এখন থেকেই তার উত্তেজনা টের পাচ্ছি।” ১৯৫৮-র বিশ্ব কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল ওয়েলস। গোল করেছিলেন পেলে। এবার তারা কত দূর যায় তাই এখন দেখার।