হাওড়া: হাওড়ার ডোমজুড়ে দুষ্কৃতী খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃত সলপের বাসিন্দা পূর্বাশা মাঝি নামে এক গৃহবধূ। সেই সুপারি কিলার দিয়ে দুষ্কৃতী তাপস গলুইকে খুন করে বলে জানায় পুলিস। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে মূলচক্রী-সহ আরও একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল শুটারের খোঁজে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, তাপস গলুইয়ের ছেলের সঙ্গে সলপের বাসিন্দা পূর্বাশা অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল পূর্বাশা। কিন্তু সেখানে বাদ সাধে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তাপস গলুইয়ের ছেলে ছটু গলুই। পূ্র্বাশাকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়, তার অন্তরঙ্গের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, ছেলেকে সবসময় সাহায্য করত তাপস গলুই। ছেলের সঙ্গে বাবাও একাধিকবার ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়েছে তাকে।
সেই ঘটনায় রাগে ক্ষোভে তাপস গলুইকে খুন করার সুপারি দেয় পূর্বাশা। তার পরিচিত দুই সুপারি কিলার পিকু ও আলুকে সুপারি দেয় সে। পূর্বাশার নির্দেশমতোই রবিবার সকালে বাজার থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাপস গলুইকে খুন করে তারা। গতকাল রাতেই সুপারি কিলার পিকুকে গ্রেফতার করে পুলিস। মূল শুটার আলুর খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Child Abuse: যৌন লালসার শিকার হল মেয়ে, গ্রেফতার বাবা
তাপস গলুই নামে মৃত ওই ব্যক্তি বহু সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নিজের এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী নামে পরিচিত ছিল সে। মৃতের বিরুদ্ধে খুন ও তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ ছিল। মাসখানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় তাপস গলুই ওরফে কাক তাপস নামে ওই দুষ্কৃতী।
রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ স্কুটি নিয়ে বাজারে গিয়েছিল তাপস। অভিযোগ, স্কুটি নিয়ে মেইন রাস্তায় উঠতেই গুলি চলে। মাকড়দহ স্টেট ব্যাংকের ঠিক সামনে কাক তাপসকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি বুলেট মাথায় লাগে। বাকি চারটি শরীর ভেদ করে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।