এখনও সমাজের এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে এই ধারণা রয়ে গেছে যে, চিকিৎসকের থেকে ওঝার ঝাড়ফুঁকে রোগ সারে তাড়াতাড়ি। শিক্ষার অভাবে হোক কিংবা টাকা পয়সার অভাব, এখনও বেশ কিছু এলাকায় এমন কিছু মানুষ আছে, যাঁদের সাপে কাটলে হাসপাতালে যাওয়ার আগে ওঝার কাছে যাওয়া তাঁরা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন। এমনই এক ঘটনার নমুনা মিলল পান্ডুয়া ব্লকের মুলটি গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার রাতে বৃষ্টি সোরেন নামে এক নাবালিকাকে সাপে কামড়ায়। বাড়ির লোক তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকার বাড়ির লোক নিজস্ব দায়িত্বে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায় বর্ধমানের এক ওঝার কাছে। চিকিৎসা না পেয়ে ঝাড়ফুঁক করার ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকে মৃতদেহ বাড়িতে রেখে দেয় বাড়ির লোকজন। ঘটনার কথা জানতে পেরে সোমবার ওই নাবালিকার বাড়িতে উপস্থিত হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ।