মুর্শিদাবাদ : বাড়ির বৌমাকে খুন করেছেন ৩ দিন আগেই। গ্রামবাসীদের জানানো হয়, মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর ৩দিন ধরে বাড়ির মধ্যেই দেহ লুকিয়ে রাখেন শ্বাশুড়ি। খবর পাওয়ার পর বাড়িতে পুলিশ আসতেই নিখোঁজ শ্বাশুড়ি।
৩ দিন পর এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তাঁর শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে নওদা থানার টিয়াকাটা দাসপাড়া এলাকায়। সোমবার দুপুরে সুনীতা দাস নামে এক মহিলার মৃত্যু হয় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে। বাসন মাজার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে সুনীতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। গ্রামবাসীরা জানান, সুনীতার বাবা ও স্বামী হরিয়ানা থেকে আসার পর তাঁর মৃতদেহ সৎকার হবে। তাই বাড়িতেই সুনীতার মৃতদেহ রাখা হয় বলেই জানায় তাঁর শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। সুনীতার কোলের সাড়ে তিন বছরের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গ্রামে সালিশও বসেছিল। এদিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত শাশুড়ি পলাতক। গৃহবধূর বাবা গোপাল দাসের দাবি, তাঁর মেয়ের উপর শাশুড়ি অত্যাচার চালাত। এমনকি মারধর করত বৌমাকে। ফলে বাবার সন্দেহ, তাঁর মেয়েকে শাশুড়ি শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশ প্রশাসন ওই গ্রামে পৌঁছয়।