কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। ফলে যখন তখন আকাশ কালো করে নামছে বৃষ্টি। রবিবার বিকালে আচমকা বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে মৃত্যু হল দুই বোনের। ঘটনাটি হুগলির আরামবাগ থানার ডিহিবাগনানের মিরপাড়া এলাকার। মৃত দুই কিশোরীর নাম মৌমিতা প্রামাণিক ও রণিতা পণ্ডিত।
মৃতা মৌমিতার বাড়ি আরামবাগের কেশবপুরে এলাকায়। সে মামাবাড়ি আরামবাগের ডিহিবাগনানেই থাকত। প্রতিদিনের মতো এদিন বিকালে রনিতা ও তার বোন মৌমিতা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে খেলতে গিয়েছিল। হঠাৎই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সেই সময় প্রাণে বাঁচতে কোনওক্রমে বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করে তারা। সেই সময়েই বজ্রাঘাতে ঝলসে যায় দুজন। আরামবাগ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ দুটি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
রবিবার বিকেলে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়াতেও। তিনটি পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত হয়েছেন ১২ জন। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার পাকুরিয়া গ্রামে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী।আচমকা বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় সে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ইন্দপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মৃত কিশোরীর নাম মানসী মন্ডল (১৪)। এদিন জয়পুর থানার হরিহরপুর গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বিশ্বনাথ মাঝি নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের।
আরও পড়ুন- Cooch Behar Flood: টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি কোচবিহারে, খোলা হল ত্রান শিবির
অন্যদিকে ইন্দপুর থানার গৌরবাজার এলাকায় বাউরীশোল প্রাইমারী স্কুলে বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। সেখানে বজ্রপাতের ঘটনায় আহত হন ৪ জন গ্রামবাসী। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ইন্দুপুর হাসপাতালে। কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোনামুখী পলাশডাঙ্গা স্কুল মোড়ের বাসস্ট্যান্ডেও বজ্রপাতের ঘটনায় আহত হয়েছে ৮ জনের বেশি। প্রত্যেককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে আহত ১ জনকে নিয়ে আসা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।