সোয়েলা লালা,পাকিস্তানের একজন খ্যাতনামা মডেল। অতিসম্প্রতি পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি ভারতের কর্তারপুর এর গুরুদ্বারে এক ফটোশুট করেছিলেন। গুরুদ্বার কমিটির নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিখ সম্প্রদায়ের তরফ থেকে তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। আপত্তির কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল গুরুদ্বারে মাথায় ওড়না না টেনে তিনি ফটোশুট করেছিলেন। তাদের দাবি এর ফলে পবিত্র স্থানের মর্যাদাহানি করেছেন ওই পাকিস্তানি মডেল। এই ধরনের আচরণ শ্রী গুরুনানকের জন্য যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে। পাকিস্তানি মডেল সোয়েলাকে নিয়ে এই বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়াতে থাকে। বিতর্ক চরমপর্যায়ে যাচ্ছে দেখে শেষমেষ বিপাকে পড়ে পাকিস্তানি মডেল ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। তিনি পোস্টে লেখেন, ” এই ছবিগুলো মোটেই ফটোশুটের অংশ নয়। আমি কর্তারপুরের গুরুদ্বারে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র শিখ সম্প্রদায়ের বিষয়ে আরও ভালভাবে জানতে। যদি এতে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি শিখ সম্প্রদায়কে ভীষণভাবে সম্মান কর। আর সমগ্র শিখ কমিউনিটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”
শিরোমনি আকালি দলের মুখপাত্র এবং দিল্লির শিখ গুরুদুয়ার কমিটির প্রেসিডেন্ট মজিন্দার সিংও বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন। নেটদুনিয়ায় শুরু হয় আরো বড় ধরনের শোরগোল। এমনকি শিখ সম্প্রদায়ের তরফে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগে তাঁরা বলেন, পাকিস্তানীরা সীমান্ত এলাকার কার্তারপুর গুরুদ্বারকে একেবারে পিকনিক স্পট বানিয়ে ফেলেছেন।
যা শ্রী গুরুনানকের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তোলেন যে এ ধরনের কাজ কি ওই পাকিস্তানি মডেল নিজেদের ধর্মের পবিত্রস্থানে করতে পারবেন? লিঙ্গ নির্বিশেষে মাথা ঢেকেই গুরুদ্বারে প্রবেশের প্রথা চলে আসছে। কিন্তু পাকিস্তানি মডেল সোয়েলা লালা মাথা না ঢেকেই গুরুদ্বার এর ভিতরে নানান স্থানে ফটোশুট করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমস্ত ছবি দেখে রেগে যায় শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক।