কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে মরিয়া সরকার। ইউক্রেন-রাশিয়া দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার আরও একবার সেফ প্যাসেজ (Safe corridor for Indian students) করা হয়েছে। সেখান দিয়েই সুমিতে আটকে থাকা কয়েক’শো পডুয়াকে ফেরানো হচ্ছে বলে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন। কিন্তু, বাকিদের কী হবে? বাকিদের জন্য নতুন কোনও সেফ প্যাসেজ তৈরি হবে? কবে হবে?—ইত্যাদি একাধিক প্রশ্নের উত্তর নেই এখন। ভারত সরকার কিংবা ভারতের ইউক্রেনীয় দূতাবাসও তা জানে না। তাই কিভের ভারতীয় দূতাবাস অ্যাডভাইজারি করেছে।
সেই অ্যাডভাইজারিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এদিনের ‘হিউম্যানিটরিয়ান করিডর’ ব্যবহার করুন। যে-যেখানে আছেন বাস-ট্রেন-গাড়ি ব্যবহার করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছন। কারণ, পরবর্তী ‘হিউম্যানিটরিয়ন করিডর’ কবে, কখন, কোথায় হবে- তা অনিশ্চিত।
যুদ্ধ চলাকালীন গত কয়েক দিনে ইউক্রেন থেকে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students stranded in Sumy) নিরাপদে দেশে ফেরানো হয়েছে। তার পরেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) উদ্ধারকাজ নিয়ে সোমবারই (৭ মার্চ) ভারতের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ক্ষোভ প্রকাশের কারণ, ইউক্রেনের সুমিতে এখনও আটকে থাকা কয়েক’শো পডুয়া।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নয়াদিল্লির নালিশ, ইউক্রেনের সুমি শহরে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ‘সেফ করিডর’-এর জন্য (Safe corridor for Indian students) যুদ্ধরত দুই দেশের কাছেই বারবার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু, তার পরেও যুদ্ধ-ধ্বস্ত সুমি শহরে এখনও কয়েক’শো ভারতীয় পড়ুয়া চরম উত্কণ্ঠা নিয়ে ঘরে ফেরার অপেক্ষা করছেন। অবিরত গোলাগুলির মধ্যে নিরাপদে ওই পড়ুয়াদের বের করে আনা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি ইউক্রেনে মানবিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। ভারত শুধু ভারতের কথা বলেনি। সুমিতে আটকে থাকা অন্যান্য বিদেশি পড়ুয়াদের পরিস্থিতিও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আনে।