কলকাতা: সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পুরভোট করাতে কলকাতায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার নেই, রাজ্যপালের কাছে তা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন সৌরভ দাস। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে আরও একবার তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কলকাতা পুরভোট করাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আপত্তি কোথায়, তা-ও জানাতে চাওয়া হয়। তবে, প্রতি কেন্দ্রে ২ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে৷ ২৫ শতাংশ বুথে ভিডিয়ো গ্রাফির ব্যবস্থা থাকছে৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ধনখড়কে জানিয়েছেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ‘রাজ্য প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে।‘ বলা হয়েছে, পুলিশ মোতায়েনের ‘ফর্মুলায়’ আশ্বস্ত কমিশন। সে ক্ষেত্রে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে পুরভোট করাতে কমিশনের সমস্যা নেই।
রাজ্যপালের কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যে রিপোর্টটি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট করাতে কী ধরনের কোভিড বিধি কমিশন মানছে, তার বিশদও রয়েছে। রিপোর্টের কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উল্লেখ নেই।
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে প্রথম থেকেই ভিন্ন মেরুতে রাজ্যপাল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। পুরভোটে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়, তার জন্য বারবার কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগেও দু-বার তলব করে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট চাইছেন। তার পরেও কমিশন কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে।
গত শুক্রবার কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিন্হা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে বৈঠক করেন। পুরভোটে নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। শনিবার নিরাপত্তার যাবতীয় তথ্য-সহ নীল নকশা কমিশনের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিস।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। মামলার পিটিশনার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে। খুব শিগগির শুনানি হওয়ার কথা।
এ দিকে, বঙ্গ বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার আবারও রাজ্যভবনে গিয়েছিল। দীনেশ ত্রিবেদী, দীনেশ বাজাজ-সহ বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেই ছিলেন। ভিভিপ্যাট দিয়ে যাতে পুরভোট করানো হয়, সেই আর্জি তাঁরা জানিয়ে এসেছেন।