পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।মেধা তালিকায় নাম থাকলেও নিয়োগ করা হয়নি।২০১৬ সালে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল ১৩৭৮টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।যেখানে ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে মেধা তালিকা অনুযায়ী পাবলিক সার্ভিস কমিশন ১০৮২ জনকে নিয়োগ করলেও মেধাতালিকায় থাকা ২৭৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পরে আর ১০২ টি নতুন করে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়।যাঁরা ১০৮২ জনের মধ্যে থাকলেও চাকুরী নেননি।
আরও পড়ুন বিজেপিতে ভাঙন, বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে
চাকুরিপ্রার্থী কৌশিক চ্যাটার্জি সহ ৫৮জন নিয়োগের জন্য আবেদন জানায় পিএসসিতে। আবেদনকারীদের জানানো হয় নিয়োগের যে সময়সীমা তা পেরিয়ে গেছে। অথচ জানুয়ারি ২০১৯ সালে নতুন করে ৫৫ জনকে নিয়োগ করা হয়। ২০১৯ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলাদায়ের হয়। সেই মামলায় কোন কারণ না দেখিয়েই মামলাটি খারিজ করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল।সেই রায় কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।
আরও পড়ুন আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক অব্যাহত, বিমান বন্দরের বাইরে হাজার হাজার মানুষ
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে কৌশিক চ্যাটার্জী সহ ৫৮ জন মামলাকারীরা পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান যে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হল না? যদিও তার যথার্থ ব্যাখ্যা পাবলিক সার্ভিস কমিশন দিতে পারেনি।তা সত্ত্বেও SAT মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দেয়। যা যুক্তিগ্রাহ্য নয়।এই বিষয়ে পিএসসি পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার রায় বলেন, যোগ্য প্রার্থী না থাকায় নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানান বিষয়টি পিএসসির ব্যাপার তাই পিএসসিই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
আরও পড়ুন সংক্রমণ বাড়লেও মৃতের সংখ্যা স্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যে
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের রায়ে খারিজ করে দেন। নির্দেশ দেন SAT কে এই মামালার শুনানি গ্রহণ করতে হবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে হলফনামা দিয়ে কারণ দেখাতে হবে মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও পরবর্তীকালে কেন তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করা হল না। অবিলম্বে তার কারণ দেখাতে হবে। পাশাপাশি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকে( SAT) ৬ মাসের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।যদি এর মাঝে পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করে তাহলে সেই নিয়োগপত্রে লিখে দিতে হবে মামলা বিচারাধীন। মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরেই চাকরি প্রাপকদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।