কলকাতা: ফুরফুরার (Furfura Sharif) উন্নয়নের (Development) জন্য বরাদ্দ হল ৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আইএসএফ বিধঘায়ক নওশাদ সিদ্দিকির এক প্রশ্নের জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একথা জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র তীর্থস্থান। সারা বছরই এই পবিত্র স্থানে দুই বাংলার মানুষের যাতায়াত লেগে থাকে। একই সঙ্গে রাজ্য ও দেশের রাজনীতিবিদদেরও আনাগোনা চলে ফুরফুরায়। লোকসভা ভোটের আগে সেই ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার নতুন করে ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই অর্থ খরচ করা হবে। প্রসঙ্গত, ফিরহাদকে সরিয়ে ওই পর্ষদের চেয়ারম্যান কার হয় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে।
এদিন বিধানসভায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানতে চান, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায় হবে? জবাবে ফিরহাদ জানান, ফুরফুরা শরীফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য ৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৯২ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন ডেভলপমেন্ট অথরিটির মাধ্যমে তারাপিঠ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্হানের উন্নয়ণ করা হয়েছে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই হবে উন্নয়ন পর্ষদের অফিস ও মুসাফিরখানা। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।
ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবিরের এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ জানান দীঘায় ১ বছরের মধ্যে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির হয়ে যাবে। এবাবদ ১৪৩ কোটি খরচ হবে বলে জানান। পর্যটন ক্ষেত্রে দীঘা একটা নতুন মাত্রা যোগ করবে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেরও। ওই সময়েই জন সাধারণের জন্য খুলেও দেওয়া হবে মন্দিরটি। মোট ১৪৩ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য। দিঘা রেল স্টেশনের পাশেই ২০ একর জমিতে গড়ে উঠছে এই মন্দির।
আরও পড়ুন: সারা দেশে দলিতদের উপর মনুবাদীদের চরম অত্যাচার চলছে, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
রাজ্যে পরিবর্তনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেন। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ফুরফুরার প্রভাবও রয়েছে।