কলকাতা: বালির নিহত পরিবেশকর্মী তপন দত্তের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সিবিআই-এর তদন্তকারী দুই অফিসার। যার মধ্যে ছিলেন এই মামলার সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ওপি চন্দ। তাঁরা কথা বলেন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত ও দুই মেয়ে পূজা ও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও। সন্ধ্যা ছ’টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা কথা বলেন। যদিও কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তদন্তকারীরা।
২০১১ সালের ৬ মে গুলি করে খুন করা হয় তপন দত্তকে। এই ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মী-সহ ১৩ জনের নাম জড়ায়। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। এক দশক অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এই ঘটনায় অভিযুক্তরা শাস্তি পায়নি। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করেছিল। সিআইডি তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।
এ বছরের জুলাই মাসে খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন অন্যতম অভিযুক্ত ও তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ষষ্ঠী গায়েন। যদিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
এ দিন প্রতিমা দত্ত জানান সিবিআই তদন্ত দেওয়া সত্ত্বেও সেভাবে অগ্রগতি হচ্ছিল না। কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে আজ কিছুটা হলেও ভরসা পেলাম। তিনি বলেন, “তদন্তকারীরা আশ্বাস দেন সঠিক তদন্তের। যেদিন তপন দত্তকে খুন করা হয়েছিল সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানাতে চাওয়া হয়। প্রতিমা আরও জানান চার্জশিটে অনেকের নাম থাকলেও সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে কয়েক জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। সে বিষয়েও কথা হয় এ দিন।”