চন্দননগর: জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মেতে উঠেছে হুগলির প্রাচীন ফরাসি উপনিবেশের শহর চন্দননগর। আজ, রবিবার ষষ্ঠী। তাই প্রস্তুতি একেবারে শেষ। রবিবার রাত থেকেই আলোর শহরে নামবে মানুষের ঢল। দুর্গাপুজো, কালীপুজো শেষ হওয়ার পর উৎসবমুখর বাঙালি যে আগামী কয়েকটা দিন চন্দননগরমুখী হবেন তা বলাই বাহুল্য।
মূলত হুগলির তিনটি শহর জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর রমরমা। ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু এবং চন্দননগরের সব রাস্তাই এখন আলো ঝলমলে। রঙিন আলোর ঝলকানিতে বিভিন্ন রকমের গল্প। তার সঙ্গে বিশাল উচ্চতার মণ্ডপে বিভিন্ন রকমের থিম নজর কাড়ে প্রতি বছরই। যদিও গত দুই বছর করোনা কালে তা ছিল একেবারেই সাদামাঠা। তাই এবছর একটু বাড়তি উন্মাদনা এখানকার পুজো উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেরই।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee at Chhath Puja: ছটপুজোয় যোগ দিতে এবছরও গঙ্গাঘাটে যাবেন মমতা
পঞ্চমীর রাতে আলো জ্বলার সঙ্গেই বিভিন্ন মণ্ডপ জুড়ে নেমেছে মানুষের ঢল। মানকুন্ডুর গোলাপবাগ বারোয়ারি এবার তাদের মণ্ডপে তুলে এনেছে কেদারনাথ মন্দির। বাগবাজার বারোয়ারি বরাবরই সাবেকিয়ানায় বিশ্বাসী। দীর্ঘদিনের এই পুজোয় থাকে না কোনও থিমের চমক। তবে আলোর শহরের কারিগরদের সৃষ্টি আর জগদ্ধাত্রীর জগন্মোহিনী প্রতিমা এই পুজো কমিটির অন্যতম সেরা আকর্ষণ। যা দেখার জন্য লাখো মানুষের ভিড় প্রতি বছরই হয় এই মণ্ডপে।
চন্দননগরের পালপাড়ায় এবারে আবার অন্য আকর্ষণ। এক টুকরো ভারতবর্ষ এবার তাদের থিমে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হিন্দু ধর্মের বিশেষ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তুলে নিজেদের মণ্ডপ সাজিয়েছে তারা। পঞ্চমীর রাতেই যা দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এখানে।
মানকুন্ডুর হাটখোলা মনসাতলায় রঙিন মণ্ডপে থিমের নাম বর্ণিল। বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক রঙই এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। কোখাও ময়ূরের পেখম। আবার কোথাও ফুলের রঙিন আভা, এক অন্য মাত্রা দিয়েছে এই মণ্ডপকে।
তবে আজ, রবিবার ষষ্ঠীর রাত থেকে এই শহরে যে আলোর রোশনাই মাখার জন্য মানুষ পথে নামবেন, তা হলফ করেই বলে দেওয়া যায়। আগামী পাঁচ দিন হুগলির এই তিন শহরে তাই শুধুই জমজমাট জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।