জলপাইগুড়ি: ভট্টাচার্য দম্পতিকে (Couple) আত্মহত্যা (Incident) প্ররোচনা (Insist) দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার হলেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ। এই প্রথম ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হল। গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরে নিজের বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন সুবোধ ভট্টাচার্য এবং অপর্ণা ভট্টাচার্য না্মে ওই দম্পতি। ঘটনার দিন দম্পতির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ আরও তিন জনের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। ভট্টাচার্য দম্পতির লেখা সুইসাইড নোটে সৈকত, সন্দীপ ছাড়াও মনোময় সরকার এবং সোনালি বিশ্বাসের নাম রয়েছে। অভিযোগ, তাঁদের মানসিক অত্যাচারের ফলেই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। কিছুদিন আগেই ওই দম্পতির মেয়ে অভিযোগ করেন, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: C V Ananda Bose | রাজ্যের অডিট রিপোর্ট রাজভবনে, টুইটে জানালেন রাজ্যপাল
মৃত সুবোধের দিদি তথা স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেছেন। সেই মামলার শুনানি চলছে। তা চলাকালীনই বুধবার আচমকা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, অসম মোড়ের বাসস্ট্যান্ড থেকে তারা সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে। থানায় দাঁড়িয়ে সন্দীপের দাবি, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন।
সন্দীপের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে।বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, আদালতের চাপ থাকায় সন্দীপ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিধায়ক শিখা বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই লড়ব।