হিরোশিমা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে মানবিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয় বলে ব্যাখ্যা করলেন। রবিবার জাপানের হিরোশিমায় (Hiroshima) মোদি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি আলোচনা এবং কূটনীতিই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। বিশ্বে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য। ভারত সবসময়ই যে কোনও অশান্তি ও বিবাদ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার পরিপন্থী। সব দেশকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি বজায় রেখে চলাই উচিত।
অন্যান্য দেশের উপর যুদ্ধের প্রভাবের কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের যে সংকট দেখা দিয়েছে তার প্রভাব সব থেকে বেশি পড়ছে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। জি-৭ সম্মেলনে (G7 Summit) যোগ দিতে জাপানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিন দিনের সফরে রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া হামলা চালানোর পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন মোদি-জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন : Madan Mitra | মদন মিত্রের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ
এর আগে তাঁরা ভার্চুয়ালি পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিন তাঁদের মুখমুখি বৈঠকে, মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কিকে বলেন, যুদ্ধের কী পরিণতি, তা আপনি আমাদের সবার থেকে বেশি জানেন, তবে আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তা করব।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন পরমাণু বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে ফুল অর্পণ করেন। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী জাপানে (Japan) পৌঁছেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় হিরোশিমাতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়। রবিবার নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (British Prime Minister Rishi Sunak) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।