নয়াদিল্লি: মণিপুর নিয়ে সংসদে লাগাতার অচলাবস্থা কাটাতে বিরোধীদের মঞ্চ আইএনডিআইএ সরকারপক্ষকে ‘মধ্যপন্থা’ অবলম্বনের প্রস্তাব দিল। এরই মধ্যে মুলতুবির পর দুপুর ২টোয় লোকসভা বসার পর দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে অমিত শাহ সভাকে বলেন, আমি বিরোধী সাংসদদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে, দিল্লির কথা ভাবুন, জোটের কথা নয়।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে মণিপুরের হিংসা ও নারী নির্যাতন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে ঝড় তোলে বিরোধীরা। যাকে কেন্দ্র করে একটি দিনও পূর্ণ কর্মদিবস কাজ হতে পারেনি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অন্য বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে রাজ্যসভায় অচলাবস্থা কাটাতে সব পক্ষ একমত হয়েছে। বৈঠকের শেষে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ইন্ডিয়া-র দলগুলি সরকারপক্ষকে মধ্যপন্থার প্রস্তাব দিয়েছে। মণিপুর নিয়ে যাতে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা হতে পারে, তার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি মোদি সরকার তাতে সম্মত হবে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে দলিতদের উপর মনুবাদীদের চরম অত্যাচার চলছে, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
এদিকে, এদিনই বহু চর্চিত রাজধানী দিল্লির কেন্দ্রশাসিত এলাকা সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলের উপর আলোচনায় শাহ বলেন, জওহরলাল নেহরু, সি রাজাগোপালাচারী, বি আর আম্বেদকর, রাজেন্দ্রপ্রসাদ দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিরোধী ছিলেন। তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ দাবি করেন, দিল্লি নিয়ে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা নেই কেন্দ্রের। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা আম আদমি পার্টির নাম না করে শাহ বলেন, ২০১৫ সালে দিল্লিতে এমন একটা দল ক্ষমতায় এসেছিল, যাদের লক্ষ্য ছিল কেবলমাত্র বিবাদ করা। মানুষের সেবা না করা। আসলে সমস্যাটা কেবলমাত্র আমলা নিয়োগের অধিকার বা স্বাধীনতা নিয়ে নয়। এরা যেভাবে বাংলো নির্মাণসহ দুর্নীতি করেছে সেগুলিকে আড়াল করার চেষ্টা।
শাহ স্পষ্ট করে বলেন, সংবিধানে দিল্লির আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা আজ যতই হইচই করুক, ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে দাবি অমিতের। আলোচনায় অংশ নিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, আপনার যখন প্রয়োজন পড়ে তখন আপনি নেহরুর সাহায্য নেন। আপনি যদি সত্যিই নেহরুর পথে চলতেন তাহলে দেশকে আজ মণিপুর বা হরিয়ানার মুখ দেখতে হতো না।