তেহরান: সরকারি হিজাববিধির বিরোধিতায় উত্তাল ইরানে (Iran) এক প্রতিবাদকারীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল৷ প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করতে ইরান সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের নিন্দা করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলিও (rights groups) এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷
সূত্রের খবর, প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অপরাধে বৃহস্পতিবার যে তরুণকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, তাঁর নাম মোসেন সেকারি৷ মোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি তেহরানে রাস্তা অবরোধ করেন। এছাড়া এক নিরাপত্তা রক্ষীর উপর হামলা চালানোর দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন মোসেন।
২৩ বছরের মোসেনকে ইরান (Iran) সরকার ফাঁসিতে চড়ানোর পরেও নাগরিক আন্দোলন থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং হাজার হাজার মানুষ এখনও আন্দোলনে সামিল৷
গত সেপ্টেম্বরে কুর্দিশ তরুণী ২২ বছরের মাসহা আমিনি হিজাববিধি অমান্য করার দায়ে নীতি পু্লিশের হাতে গ্রেফতার (arrest) হন৷ পরে পুলিশ (police) হেফাজতেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এরপর ইরানে নাগরিক আন্দোলন শুরু হলেও সরকার এই আন্দোলনকে ‘দাঙ্গাবাজদের নৈরাজ্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
মোসেনের ফাঁসির পরে মানবাধিকার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, এরপর অন্তত ১২জন প্রতিবাদকারীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, বর্বরোচিতভাবে ইরান (Iran) সরকার নাগরিক আন্দোলনকে দমন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পরে বিচার চলাকালীন মোসেন আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনও আইবজীবীর সহায়তা নিতে পারেননি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) ইরান সরকারের নিন্দা করে বলেছে, স্বদেশের মানুষের উপর ইরান সরকারের দমনমূলক নীতি অতি নিন্দনীয়। জার্মানি, রোম, ব্রিটেন মোসেনকে ফাঁসিতে চড়ানোর বিরোধিতা করে পৃথক পৃথকভাবে বিবৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) তরফেও মোসেনকে ফাঁসিতে চড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।