নির্দির্ষ্ট সময়ের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেবে জমা না পড়ায় ইডিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানান, বিকেল পর্যন্ত তাঁরা অভিষেকের সম্পত্তির কোনও কপি পাননি। তবে ই-মেলে কিছু এসেছে কি না সেটা তাঁরা পরে জানতে পারবেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা অভিষেকের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ড’ সংস্থার সিইও অভিষেক সহ সব ডিরেক্টর ও সদস্যের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে দিতে বলেছিল। কিন্তু ইডি প্রাথমিক ভাবে এ ব্যাপারে যে রিপোর্ট দেয় তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। তাঁর মোতে ইডির দায়সারা এই রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত ১০ অক্টোবরের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলে। বিচারপতি সিনহার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক ৩ অক্টোবর বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। ওই বেঞ্চও প্রশ্ন তোলে, সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে অভিষেকের অসুবিধে কোথায়? আদালত জানিয়ে দেয় ১০ তারিখের মধ্যেই অভিষেককে সম্পত্তির বিস্তারিত খতিয়ান দিতে হবে।
মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী জানান, বিকেল পর্যন্ত অভিষেকের কাছ থেকে তারা কোনও কিছুই পাননি। ডিভিশন বেশ আরও বলেছিল সম্পত্তির হিসেবে খতিয়ে দেখে যদি ইডি মনে করে তা যথেষ্ট নয়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে তারা অভিষেককে সমন পাঠাতে পারে।
এদিকে, সিবিআই যে ৯৬ জন প্রার্থীর বেআইনি নিয়োগের কথা বলেছিল, তার মধ্যে ৯৫ জন এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে হাজির হয়েছিলেন। আদালত সূত্রের খবর, এদের মধ্যে ৯৪ জন টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় কোনও প্রমান দেখাতে পারেনি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা অবিলম্বে এই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ওই সব শূন্যপদে মেধা অনুযায়ী নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৬ এবং এবং ২০২০ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্যানেল প্রকাশ করতে হয়ে ৩ নভেম্বরের মধ্যে।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, ২০১৬ সালে শূন্য পদে তুলনায় ৯০০ জনেরও বেশি প্রার্থীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারীদের আরেক আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পর্ষদ এখন পর্যন্ত মোট কতজনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছে, তা আদালতে জানানো হোক। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ নভেম্বর