শিলিগুড়ি: পাহাড়ে আর আগুন জ্বালাতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিলেন জিটিএ (GTA) প্রধান অনিত থাপা। শনিবার শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে সাংবাদিক বৈঠকে অনিত বলেন, গোর্খাল্যান্ড নয়, পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পাহাড়ে (Mountain) অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। পাহাড়ে আর আগুন জ্বালাতে দেব না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জিটিএ (GTA) চুক্তি থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি ওই থেকে স্বাক্ষর প্রত্যাহার করে নেন। মোর্চার তরফে জিটিএ (GTA) চুক্তি প্রত্যাহারের বিষয়টি রাস্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে ।
মোর্চার ওই সিদ্ধান্তের পরই সরগরম হয়ে ওঠে পাহাড়ের রাজনীতি। দার্জিলিং পুরসভা হামরো পার্টির হাতছাড়া হওয়ার পরই পাহাড়ের বিভিন্ন দল ফের গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে সরব হয়েছে। মোর্চার বিমল গুরুং, হামরো পার্টি সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, তৃণমূল ছেড়ে আসা বিমল তামাংরা একযোগে গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: BJP Inner Conflict: পূর্ব বর্ধমানে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপিতে
শনিবার অনিত সাংবাদিক বৈঠকে গুরুংদের একহাত নেন। তিনি বলেন, জিটিএ চুক্তি এখন আইন হয়ে গিয়েছে। তাঁরা জিটিএ চুক্তিকে পুতুলখেলা ভাবছে। জিটিএ’কে আরও শক্তিশালী করাই হল পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার একমাত্র সমাধান।
অনিত বলেন, পাহাড়ে রোজগার বাড়াতে হবে, পানীয় জল সমস্যা সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন করতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। আলাদা রাজ্যের নামে পাহাড়কে আর অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। পৃথক রাজ্য রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের ইস্যু।ওঁরা পারলে দিল্লিতে আন্দোলন করে দেখাক। জিটিএ প্রধানের মতে, গুরুং, বিনয়দের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসার জন্য তাঁরা পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জিগির তুলছেন।