কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের (Parthachatterjee) হেফাজত নিয়ে ফের আদালতের (court) তোপের মুখে পড়ল সিবিআই (Cbi)। তদন্তে (Investigation) এত বিলম্ব কেন, তা নিয়ে সোমবার আবারও আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের প্রশ্নে জর্জরিত হতে হল সিবিআইয়ের আইনজীবীকে।
এদিন বিচারক বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ মে থেকে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন। এখন যদি কেউ বেআইনিভাবে অভিযুক্তদের এতদিন ধরে জেলে বন্দি রাখার অভিযোগ তোলেন, তার দায়িত্ব কে নেবে ? তিনি বলেন, এতদিন তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার দরকার কী। আমি কেন বারবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেব। আপনারা কেবল ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। কিন্তু তার প্রমাণ কোথায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বলার চেষ্টা করেন, অন্তত ৩০০ লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সময় লাগছে। বিচারক তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আর কত সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: D EL ED: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ, কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস পর্ষদের
এদিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ মোট সাতজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সকলের আইনজীবীই জামিনের আবেদন জানান। সকলেরই দাবি ছিল, এতদিন হয়ে গেল। কিন্তু তদন্তে কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। শুধু শুধু তাঁদের মক্কেলদের আটকে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ আবার মক্কেলদের বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার কথাও তোলেন। সওয়াল জবাব শেষে বিচারক সকলকেই ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এর আগেও একাধিকবার ওই আদালতের বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে নানা প্রশ্নে জেরবার করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সিবিআই তদন্তে তো অগ্রসর হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। একই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি তো সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলে রদবদলও ঘটিয়েছেন।