skip to content
Sunday, June 16, 2024

skip to content
HomeকলকাতাCalcutta High Court | থানা নয়, রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি দেবেন এসপি,সিপি,...

Calcutta High Court | থানা নয়, রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি দেবেন এসপি,সিপি, নির্দেশ আদালতের

Follow Us :

কলকাতা: এখন থেকে আর স্থানীয় থানা নয়, রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ের জন্য দলগুলিকে অনুমতি নিতে হবে পুলিশ সুপার (Police Super) বা পুলিশ কমিশনারের (Police Commissioner) কাছ থেকে। আবেদনও জানাতে হবে তাঁদের কাছে। শুক্রবার (Friday) মিটিং-মিছিল সংক্রান্ত এক মামলায় এই নির্দেশই দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) আশা, অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে শাসকদল এবং বিরোধীদের ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার কোনও বাছবিচার বা পক্ষপাতিত্ব করবেন না। ভাঙড়ে আইএসএফ এবং সিপিএমের মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ, এই অভিযোগে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। তারই শুনানিতে এদিন একথা জানায় হাইকোর্ট (High Court)। 

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | ২৯ মার্চ ধর্মতলায় ছাত্র-যুব সমাবেশ, প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 

বিচারপতি মান্থার আরও নির্দেশ,  কোন দল কখন আবেদন জমা দিল, তার  জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার রাখতে হবে। পর পর সংখ্যা ধরে সেইসব আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেবে পুলিশ। সভায় বা মিছিলে কতজন যোগ দিতে পারে তার সংখ্যা, কোথায় করতে চায় সেই জায়গা বা মিছিলের রুট জানাতে হবে পুলিশকে।

আদালত আরও বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, যাতে কোনওভাবে সে সব মিছিল বা সভা নিয়ে কোনও অশান্তি না হয়। বাইরের কোনও লোক  যাতে গোলমাল না করতে পারে। এছাড়াও শব্দবিধি মেনে মাইক বাজাতে হবে। সেই  আবেদনের রেকর্ড যাতে অনলাইনে দেখা যায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিকে। 

এর আগে বাম জমানায় মিছিল-মিটিং সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টে্র এক নির্দেশকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছিল রাজ্যে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমিতাভ লালা কলকাতা শহরে মিছিল-মিটিং করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল সিপিএম। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘লালা, বাংলা থেকে পালা’। ওই স্লোগানকে সামনে রেখে সিপিএম শহরের রাজপথে মিছিল-মিটিংও করে। বিমান বসুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। এর জন্য বিমানবাবুকে আদালতে  হাজিরা দিয়ে ক্ষমাও চাইতে হয়। 

বিচারপতি অমিতাভ লালার ওই নির্দেশের পরও শহরে রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং কিন্তু বন্ধ হয়নি। শাসক, বিরোধী সব পক্ষই অবাধে মিছিল-মিটিং চালিয়ে গিয়েছে। এবার বিচারপতি মান্থা অবশ্য রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি তাঁর অনুমতি দানের বিষয়টি পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, স্থানীয় থানাগুলি মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেয় না। তারা শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে। তার জন্যই জেলা হোক বা কলকাতা শহরেই হোক, বিরোধীদের সভা-সমিতির অনুমতি কার্যত দেওয়াই হয় না স্থানীয় থানার তরফে। এর জন্যই বিরধী দলগুলিকে আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়। 

RELATED ARTICLES

Most Popular