কলকাতা: রঞ্জি ফাইনালের আগে সেজে উঠছে ক্রিকেটের নন্দন-কানন। এই ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে আয়োজিত হবে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রঞ্জি ফাইনাল আয়োজন করতে তৈরি আমরা। ভালো ম্যাচ হবে আশা রাখছি।’ বেশ কিছু চমক থাকছে ইডেনে রঞ্জি ফাইনালকে ঘিরে-
১। ১৯৮৯-৯০ সালের চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। এই আমন্ত্রিত ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা বক্স করা হয়েছে যেখানে বসে তাঁরা ফাইনাল উপভোগ করবেন।
২। ১৯৮৯-৯০ রঞ্জি ফাইনাল কভার করা সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
৩। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিএবি। বাংলার অনুকূলে ম্যাচ গেলে মুখ্যমন্ত্রী ইডেনে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
৪। অবাধ দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা। বাংলাকে সমর্থন করতে যাতে বেশি সংখ্যক দর্শক ইডেনে হাজির হয় তার জন্য বিনামূল্যে ইডেনের দরজা খুলে দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে সিএবি। ইডেনের বি, সি, কে, এল ব্লকে বসে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকেরা। লাগবেনা কোনও টিকিট।
৫। ফাইনাল ম্যাচে ঐতিহ্যশালী ইডেন বেল বাজিয়ে খেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খেলা শুরুর প্রথম দিন ইডেন বেল বাজাবেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষবার বাংলার ক্রিকেট দলের রঞ্জি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
৬। এবার ইডেনে হতে চলা রঞ্জি ফাইনালে ডিআরএসের ব্যবহার আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হবে।
৭। রঞ্জি ফাইনালের ধারাবিবরণী বাংলায় শোনা যাবে আকাশবাণীতে।
রঞ্জি ফাইনালের আগের দিন ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে ইডেনে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এসে হাজির হন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত মনোজ তিওয়ারি এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার যুগলবন্দিতে এবারে রঞ্জি ট্রফি জিতবে বাংলা। একজন মন্ত্রী হয়েও রঞ্জি ফাইনালে যে বাংলাকে অধিনায়কত্ব দেবেন মনোজ-এটা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে যাওয়া উচিত।’