নয়াদিল্লি: ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় বিলকিস বানোকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনে দোষী সাব্যস্তদের ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার (Gujarat Government)। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বেশ কিছু আবেদন জমা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই মামলাতেই ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করল বিচারপতি কে এম জোসেফ (Justice KM Joseph) এবং বিচারপতি বি ভি নাগারত্নের (Justice BV Nagarathna) বেঞ্চ। ইচ্ছে করেই এই বেঞ্চকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে তিরস্কার করেন বিচারপতি জোসেফ, কারণ আর কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি অবসর নেবেন।
বিচারপতি জোসেফ বলেন, কী চেষ্টা চলছে তা পরিষ্কার। আমি ১৬ জুন অবসর নিচ্ছি আর আমার শেষ কর্মদিবস ১৯ মে। বোঝাই যাচ্ছে আপনারা চান না, এই মামলার শুনানি এই বেঞ্চে হোক। আপনারা আগে আদালতের আধিকারিক, সেই ভূমিকা ভুলবেন না। একটা মামলা হয়তো আপনারা জিততে বা হারতে পারেন কিন্তু নিজের কর্তব্য ভুলবেন না।
আরও পড়ুন: Amartya Sen | অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিনভর অবস্থানে বসবেন শুভা, যোগেন, কবির সুমন
মার্চ মাসে এই মামলায় নোটিস জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। এও বলা হয়, বিলকিস বানো এবং তাঁর পরিবারের প্রতি হওয়া অপরাধ ভয়ঙ্কর। তবে এও বলা হয়, বিষয়টা দেখা হবে আইন মোতাবেক। ১১ অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের ২৫ অগাস্ট গুজরাত সরকারের জবাব শুনতে চায়। যে ১১ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তারা হল যশবন্ত নাই, গোবিন্দ নাই, শৈলেশ ভাট, রাধেশ্যাম শাহ, বিপিনচন্দ্র জোশি, কেসারভাই ভোহানিয়া, প্রদীপ মোরধিয়া, বাকাভাই ভোহানিয়া, রাজুভাই সোনি, মিতেশ ভাট এবং রমেশ চন্দনা।
মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্য (গুজরাত) এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) জনস্বার্থ আবেদনের (PIL) যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দোষী সাব্যস্তদের অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হওয়া এক খারাপ নজির। তিনি এই মামলায় এই আবেদন নিয়ে আগে সরকার পক্ষের আবেদন শোনার অনুরোধ করেন, অবশ্য তাতে বাদ ছিল বিলকিস বানোর আবেদন। আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, তারা আগে বিলকিস বানোর আবেদন শুনবে। অর্থাৎ এখানেও সলিসিটর জেনারেলের মুখ পুড়ল।