নাগপুর: অভিষেকেই দুরন্ত সাফল্য পেলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) তরুণ অফস্পিনার টড মারফি (Todd Murphy)। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নাথান লায়ন (Nathan Lyon), অ্যাশটন অ্যাগারের (Ashton Agar) জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু মঞ্চ কেড়ে নিলেন ২২ বছর বয়সি মারফি। তাঁর স্পিনের জালে জড়ালেন কে এল রাহুল (KL Rahul), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin), চেতেশ্বর পুজারা (Cheteshwar Pujara), বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং কে এস ভরত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান সাত উইকেটে ৩২১। সাতের মধ্যে পাঁচটাই মারফির। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান লায়ন এবং প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)।
টেস্ট ক্রিকেটে এমন চমকপ্রদ অভিষেক ঘটানো মারফির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কিন্তু বিরাট সাফল্য নেই। তিনবার চার উইকেট পেয়েছেন তিনি, কিন্তু এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট কখনওই পাননি। ভিক্টোরিয়ার হয়ে (Victoria) নিউ সাউথ ওয়েলসের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। সেই ম্যাচে ৪৭ ওভার বল করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছিলেন মারফি।
আরও পড়ুন: West Indies vs Zimbabwe: নয়া মাইলফলকের অধিকারী দুই উইন্ডিজ ওপেনার
এদিন মারফির কীর্তির সাক্ষী হতে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (VCA) মাঠে উপস্থিত ছিল তাঁর পরিবার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এখানে এসেছেন তাঁরা। মোয়ামার বাড়িতে থেকে তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে মেলবোর্ন পৌঁছন তাঁর বাবা জেমি মারফি (Jamey Murphy)। তারপর বিমানে সিডনি (Sydney), সেখানে থেকে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) হয়ে নাগপুরে (Nagpur) হাজির হয়েছেন। বাবা ছাড়াও মাঠে ছিলেন মারফির ভাই জোয়েল, কাকা ট্রয়, খুড়তুতো ভাই রাইলি এবং পার্টনার বেক।
তিন বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন মারফি। অস্ট্রেলিয়া সেই টুর্নামেন্টে সফল না হলেও ভালোই বল করেছিলেন মারফি। চার ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মারফির বাবা জেমিও ক্রিকেটার ছিলেন তবে জাতীয় দলে কোনওদিন খেলেননি তিনি। তবে ১৯৯০ সালে মেলবোর্নের সেন্ট কিলাডার হয়ে প্রয়াত কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) সঙ্গে খেলেছিলেন তিনি।