গাছপালা পছন্দ করেন? বাড়িতে বাগান করার চিন্তাভাবনা থাকলে এই পাঁচটি ভেষজ গাছ দিয়ে শুরু করতে পারেন। ঘরের সৌন্দর্য্য যেমন বাড়বে তেমনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় সময়ে অসময়ে কাজে আসবে এগুলি। পাশাপাশি বাড়িতে গাছপালা থাকলে পরিবেশ ভাল থাকবে এবং মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই ভেষজ গাছগুলি কি কি দেখে নিন-
তুলসী- তুলসীর পাতার উপকারিতা নতুন করে বলার কিছুই নেই। ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশি গলায় জীবাণু সংক্রমণ বা অন্যান্য সমস্যার সমাধানে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও পুষ্টিকর পদার্থ রয়েছে যা জ্বর, অ্যাস্থমা সারাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। দাঁত, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ক্যানসার ও এইচআইভি সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশ এবং হজম সংক্রান্ত বিষয় ভীষণ কার্যকারী তুলসীর পাতা।
লেমনগ্রাস- সুগন্ধর জন্য বিশ্ব খ্যাত লেমনগ্রাস। কিছুটা পাতিলেবুর গন্ধের মত, তবে অনেকটা হালকা লেমনগ্রাসের গন্ধ শরীর মন একেবারে চাঙ্গা করে দেয়। অল্প একটু লেমনগ্রাস কেটে চায়ে দিয়ে দেখুন আপনাকে একেবারে তরতাজা করে তুলবে। ক্লান্তি দূর করতে, মানসিক অবসাদে, উদ্বেগ কমাতে দারুণ কাজে আসে লেমনগ্রাস।
জোয়ানের গাছ- হজমের সমস্যা, পেট ফোলা কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় দারুন কাজে দেয় এই গাছের পাতা। মধু, কালোমরিচ আর হলুদের সঙ্গে এর পাতা মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এক কথায় পেটের নানা রকম সমস্যা দারুণ কাজে আসে এই গাছ। চাইলে আপনি জোয়ান গাছের পাতা ভাল করে ভেজে স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন।
রোজমেরি- এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কিংবা রক্ত সঞ্চালন ভাল করতে বাড়িতে এই গাছ অবশ্যই রাখুন। অনেক কাজেই আসবে। রোজমেরি নাকি এমন একটা গাছ যার ক্ষেত্রে বলা হয় এটা কগনিটিভ স্টিমুল্যান্টের কাজ করে। মেটাবলিজম ঠিক করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। রোজমেরি পাতার ভাল উপকার পেতে চায়ে বা ফুটন্ত জলে মেশাতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন কনটিনেন্টার ডিশে ব্যবহার করতে পারেন।
অরেগ্যানো- এই গাছের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ার কার্যকারিতা আছে। শরীরের কোষ কে ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় এবং মাংশপেশিতে যন্ত্রণা হলে কাজে আসে। উপকার পেতে প্রত্যেকদিন আপনি এক কাপ করে অরেগ্যানো টি খেতে পারেন। আবার অন্তত ২০ মিনিট অরেগ্যানো পাতা রান্না করে নিতে পারেন। এবং অল্প ঠান্ডা হয়ে গেলে খেতে পারেন। অরেগ্যানো পাতার কটুস্বাদের জন্য এগুলি কাঁচা খেতে পারবেন না।
এই সবকটি ভেষজ গাছগুলি ঘরোয়া উপায়ে শরীর ঠিক করতে ভীষণ কার্যকরী। এগুলির প্রচুর গুণ। তবে কটুস্বাদের কারণে সবকটির পাতা শুধুমুখে খেতে পারবেন না তাই গরম জল কিংবা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। আর খাওয়ার আগে অবশ্যাই এই পাতাগুলি ভাল করে ধুয়ে নেবেন।