দিনের অধিকাংশ সময় কাটে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের সামনে। তাই প্যান্ডা আই-এর সমস্যায় ইদানিং ভুগছেন আপনিও। এদিকে সকালে উঠে চোখের কোনের কালি দেখে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে শুধু যে ঘুমের অভাবেই এটা হয় তা নয় কিন্তু। রোদে পুড়ে, খাবার দাবারের গন্ডগোল, পেটের সমস্যা নানা কারণে কালি জমে চোখের কোলে। তাই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি সহজ উপায়ে কিছুটা হলেও কাজে লাগাতে পারেন এই ঘরোয়া টোটকাগুলি। চোখের আরাম হবে কালে দাগও কমবে।
কোল্ড কম্প্রেস (Cold compress)
এক টুকরো বরফ কাপড়ে ভাল করে মুড়ে হাল্কা ভাবে চোখের আশেপাশে কমপ্রেস করুন। দেখবেন আরাম পাবেন। অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে দুবার এই কোল্ড কম্প্রেস করতে পারেন।
শশা (cucumber)
চোখ পরিষ্কার করে নিন। বিছানায় শুয়ে কিংবা সোফা বা ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে বসুন। এবার দু চোখে দুটো শশার টুকরো রেখে দিন। অন্তত ১৫ থকে ২০ মিনিট এইভাবে রেখে ধুয়ে ফেলুন। শশার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। এরফলে ত্বকের রঙ পরিষ্কার করে এবং ঠান্ডা করে। এতে চোখের আরাম হবে। অ্যান্ট্রিনজেন্ট হিসেবে শশা দারুণ কাজ করে। তবে শশা চোখে রাখার আগে এটাকে অন্তত ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন।
টি ব্যাগ (tea bag)
ডার্ক সার্কেল সারিয়ে তুলতে টি ব্যাগও দারুণ কাজ করে। চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কার্যকারিতার ফলে চোখের ফোলাভাব, চোখের নীচে সূক্ষ্ম রেখা সারিয়ে তোলে। রক্ত সঞ্চালনও বাড়িয়ে তোলে। দুটো ব্যবহার করা টি ব্যগ ফ্রিজে রেখে ভাল করে ঠান্ডা করে নিন। অন্তত ১৫ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার এই টিব্যাগ ফ্রিজ থেকে বার করে অন্তত ১০ মিনিট চোখের ওপর রাখুন। এটা প্রত্যেকদিন করলে ভাল ফল পাবেন।
অ্যালোভেরা (aloevera)
অ্যালোভেরার অ্যান্টি- পিগমেন্টেশন কার্যকারিতা রয়েছে। এতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী ভিটামিন ই। তাই অ্যালোভেরার পাতা থেকে নির্যাস বা জেল বার করে মধুর সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার চোখ পরিষ্কার করে চোখের চারপাশে এই মিশ্রণ লাগিয়ে নিন। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে রোজ ব্যবহার করুন।
(ছবি সৌজন্য: Pexels)