একদিকে ক্রমশ নেমে চলেছে তাপমাত্রার পারদ অন্যদিকে আবার হিমেল হাওয়া। বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধুয়ে সবে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিয়েছেন, দাঁত এমন শিরশির করে উঠল যে সুখের দ্বিতীয় চুমুকটা আর নেওয়া হল না। সেই যে ব্যথা শুরু হল তারপর থেকে ক্রমশ যন্ত্রণা বাড়ছে। দিব্যি খোশমেজাজে ছিলেন৷ কিন্তু এই দাঁতের যন্ত্রণা সব মাটি করে দিল। ভেজা আবহাওয়ায় আরও বাড়ছে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত এই ঘরোয়া টোটকাগুলো কাজে লাগাতে পারেন। সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে।
গরম নুন জলে মুখ ধুয়ে নিন
এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে নুন গুলে কুলকুচি করে নিন। যে দাঁতে ব্যথা সেখানে এই জল কয়েক সেকেন্ড রেখে ফেলে দিন। আরাম পাবেন। এই নুন জল মুখের ভিতরের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। তবে ব্যথার পাশাপাশি মাড়ি ফুলে গেলে এই নুন গরম জলে মুখ না ধোওয়াই ভাল। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এই নুন গরম জল ব্যবহার করুন।
ব্যথা দাঁতে রসুন লাগাতে পারেন
দাঁতের ব্যথায় রসুন রীতিমতো জাদু করতে পারে। এক থেকে দু কোয়া রসুন হাল্কা থেঁতো করে নিয়ে ব্যথা জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না ব্যথা কমছে ততক্ষণ মুখে রেখে দিন। তবে আপনার যদি আগে থেকেই বিশেষ কোনও সংক্রমণ থাকে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কাজ করাই ভাল।
কোল্ড কম্প্রেস করতে পারেন
দাঁতের ব্যথা যার হয় সেই জানে। ব্যথার তীব্রতা বাড়লে একটা তোয়ালেতে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে কোল্ড কম্প্রেস করুন। এতে অন্তত ব্যথার তীব্রতা কমবে।
লবঙ্গ তেল ব্যবহার করুন
তবে আগের সবকটি টোটকার তুলনায় দাঁতের ব্যথায় সব থেকে ভাল কাজ করে লবঙ্গ তেল। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি কার্যকারিতা রয়েছে। এর ফলে যে কারণেই এই সংক্রমণ হোক না কেন, লবঙ্গ তেল দাঁতের ব্যথা কমিয়ে আপনাকে অনেকটাই আরাম দেবে। লবঙ্গ তেলে এক টুকরো তুলো ভিজিয়ে নিয়ে ব্যথার জায়গায় এটা লাগিয়ে নিন। আরাম পাবেন।