করোনা যুদ্ধে এখন ভ্যাকসিনই আসল অস্ত্র। অথচ সেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়েই অতি পুরনো প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে ভারত। অন্যদিকে, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে তৈরি করোনার দেশজ টিকা কোভ্যাকসিন। অথচ ভারতে তা কিনতে হলে দিতে হচ্ছে সবথেকে বেশি মূল্য। কারণ বহু বছরের পুরনো প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহার হওয়ায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে খরচ বেশি হচ্ছে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন কোনো ফ্রন্টই বিজেপিকে রুখতে যথেষ্ট নয় : পিকে
উল্লেখ্য, করোনা যুদ্ধে ভ্যাকসিন নেওয়া এখন বাধ্যতামূলক। এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সংগ্রহ করতে হচ্ছে প্রচুর সিরাম। সেখান থেকে কোভিড ভাইরাসকে আলাদা করে তাকে ইন অ্যাক্টিভেট করে তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিন। যার ফলেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে সবথেকে বেশি খরচ হচ্ছে। যার ফলে দামও সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতায় তৃণমূল, পাশে আছে বাম-কংগ্রেস
ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিনের টিকা উৎপাদন করতে প্রাথমিক বিনিয়োগ কম লাগে। অন্যদিকে স্পুটনিক’ ভি বা কোভিশিল্ড তৈরি করতে প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও, তৈরি টিকার দাম কম হয়।
আরও পড়ুন জমা পড়ল কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ট্রায়ালের নথিপত্র
জি এস টি ও সার্ভিস চার্জ দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনার টিকা নিতে গেলে, কোভিশিল্ডের জন্য খরচ হচ্ছে ৭৮০ টাকা। স্পুটনিক- ভির জন্য খরচ ১১৪৫ টাকা অথচ কোভ্যাক্সিন নিতে খরচ করতে হবে ১৪১০ টাকা। কাজেই প্রাণ বাঁচাতে ভ্যাকসিন নেওয়া যখন আবশ্যিক তখন ভ্যাকসিনের এই চড়া দাম কার্যত চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণের কপালে।
আরও পড়ুনকোভিডবিধি মেনেই খুলল কালীঘাট মন্দির