নাগপুর: বৃষ্টি (Rain) চলছিল আগে থেকেই। তার উপর আবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। বিপদ যেন আরও বাড়ল। কোথাও কোমর সমান জল জলে রয়েছে, কোথাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাস জলের নীচে চলে গিয়েছে। ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি জলের নীচে চলে গিয়েছে। এদিকে, লাগামছাড়া বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ি। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের (Maharastra) নাগপুরে (Nagpur) দুই মহিলাসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজও দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, দুই মহিলাসহ চারজন মারা গিয়েছেন। এই সঙ্গেই অন্তত ১৪টি গবাদি পশু ভেসে গিয়েছে। সেখানে জলের কারণে আটকে পড়েন বহু মানুষ। সেখান থেকে ৪০০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জানা গিয়েছে, সেখানে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন মহেশনগরের বাসিন্দা মীরাবাই পিল্লে, সুরেন্দ্রগড় এলাকার সন্ধ্যা ধোরে (৮০) এবং সঞ্জয় গাইকোয়াড়। সেখানের মেডিক্যাল কলেজের সামনে গর্তে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। আরেকজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম, আতঙ্কে পর্যটকেরা
লাগাতার ব্রিস্তিরব জেরে নাগপুরের নাগ এবং পিল্লাই নদীর অঞ্চলের নিচু এলাকার বহু বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সেখানের ওয়ারধা রোডে রানি ঝাঁসি স্কোয়ারের কাছে নাগ নদীর ওপরে একটি সেতুর অংশও ভেসে গিয়েছে। আধিকারিকরা জানান, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেখানে ১০৬.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তা এবং এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্রে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, সেখানের প্রায় ১০হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন তিনি। বাসিন্দারা জানান, এই রকম বৃষ্টি এবং পরিস্থিতি আগে কোনওদিন দেখেননি তাঁরা।