নয়াদিল্লি: শুক্রবার ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে ভাষণে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা ছাড়াও কৃষকদের মাঠে ফেরার আবেদন জানান তিনি। যদিও কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সংসদে কৃষি আইন বাতিল করা না হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। এখনও কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ।
তিনি বলেছেন, বিল আসে, আবার অনেক সময় বাতিলও হয়। সেগুলি ফিরেও আসতে পারে, নতুন করে আইন প্রণয়নও হতে পারে। সাক্ষী মহারাজের মতে, নির্বাচনের সঙ্গে এই আইন প্রত্যাহারের কোনও সম্পর্ক নেই। কৃষকদের অপবিত্র জোট পাকিস্তান জিন্দাবাদ, খালিস্তান জিন্দাবাদের মতো দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির কাছে জাতি সবার আগে। বিল তৈরি হতেই থাকে, বাতিলও হয়, আবার ফিরে আসবে, তৈরি হবে, এতে সময় লাগে না।
আরও পড়ুন: কৃষকরা খালিস্তানি! ইন্দিরা পিষে মেরেছিলেন জঙ্গিদের, লিখলেন কঙ্গনা
কৃষি আইন বাতিল করায় মোদির প্রশংসাও করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, বিল ও দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশকে বেছে নিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী উদার মনের পরিচয় দেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ। অনেকেরই অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। মোদির আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে তাঁরা বড় ধাক্কা খেয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেনও বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কেউ টক্কর দিতে পারবে না।
সাক্ষী মহারাজ এ কথা বললেও কৃষি আইন দ্রুত প্রত্যাহারের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গোটা বিষয়টি দেখছেন। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, সেদিনের বৈঠকেই আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দেবে মন্ত্রিসভা। তার পর আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হবে আইন তিনটি।
আরও পড়ুন: স্বামীর কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বললেন শহীদ জওয়ানের স্ত্রী