নয়াদিল্লি: লখিমপুরের ঘটনায় সোমবারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে টুইটে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এত বড় ঘটনা ঘটলেও প্রধানমন্ত্রী চুপ রয়েছেন কেন?
এ দিন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ নামক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। একাধিক নগরোন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে জোড়াফুল শিবির। দলের তরফে টুইটে লেখা হয়েছে, একটি বই উদ্বোধন করতে মোদি লখনউ যেতে পারলেও নিজের দলের কর্মীদের হাতে খুন হওয়া কৃষকদের কাছে যেতে পারলেন না!
আরও পড়ুন: মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ‘লাভবান’ গুজরাত, সাত বছরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ
তৃণমূলের দাবি, কৃষকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্রমবর্ধমান উদাসীনতার কারণেই দেশকে এমন অন্ধকার দিন দেখতে হচ্ছে। এই ঘটনার দায় কার সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। সোমবার লখিমপুরের ঘটনায় মমতাও একহাত নিয়েছিলেন বিজেপিকে। মমতা বলেন, মানবাধিকারের সর্বনাশ করছে বিজেপি। লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
The very backbone of our nation stands attacked today and who is to blame? Mr. @narendramodi!
The Hon'ble PM's growing APATHY towards our farmers has led the country to such dark days.
We are deeply pained by the harrowing experiences that our farmers are having to face! pic.twitter.com/L73yI6f5zb
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 5, 2021
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, লখিমপুরে যা হয়েছে তা অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক। নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের এখানে কিছু হলেই মানিবাধিকার কমিশন পাঠায়। অথচ ওখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে মানুষ মারলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। গণতন্ত্র নয়, বিজেপি ওখানে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। এই সরকার সব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এরকম সরকারের জন্য জনসাধারণেরও ১৪৪ ধারা জারি করা উচিত।
আরও পড়ুন: ফের ‘ভুয়ো’ ছবি, এ বার ভাইরাল আমেরিকার সংবাদপত্রে মোদির ছবি সহ ‘প্রশস্তি’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র এবং উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার লখিমপুর যান৷ তাঁদের আসার আগে কৃষকরা সেখানে জমায়েত শুরু করেন৷ আন্দোলনকারীরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছাড়াও মন্ত্রীদের কালো পতাকা দেখাতে চেয়েছিলেন৷ সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি কৃষকদের উপর দিয়ে চলে যায়৷ তাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা৷ একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ এবং গাড়ি চাপা পড়ে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে চার জন কৃষক৷ এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়৷ কৃষকদের সমর্থনে তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন বিরোধীরা৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে।