পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রশাসনিক কোনও সহযোগিতা ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে নদীতে সেতু (Bridge) নির্মাণ করলেন এক গ্রামবাসী। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কাঁসাই নদীর উপর সেতু ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মাণ করলেন পেশায় কৃষক গোপাল মল্লিক । কোনও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর হাত ধরে নয় একেবারে অনাড়ম্বর ভাবে পুজো দিয়ে এই সেতুর উদ্বোধন হয়। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নিজামপুর এলাকায়।
নিজামপুর তিলন্দ, বালকরাউত, রবিদাসপুর, নন্দনপুর, বসন্তপুর, গোবিন্দনগর গ্রামের মতো প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি গ্রামের মানুষের কষ্টের অবসান হল এই সেতু উদ্বোধনে। দাসপুরের নিজামপুর ও পার্বতীপুরের মাঝে কাঁসাই নদীতে বাঁশের সাঁকো ছিল। সেই সাঁকোই ছিল গ্রামবাসীদের পারাপারের মূল ভরসা। রাতবিরেত বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স আসার উপায় ছিল না গ্রামে। প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার ঘুরপথ হয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হয় অ্যাম্বুল্যান্সকে। অন্যদিকে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলও বাজারে নিয়ে যাবার সমস্যা ছিল। ওই বাঁশের সাঁকো আবার নদীতে জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে নিজামপুর গ্রামের গোপাল মল্লিক নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই নতুন সেতু বানিয়ে দিলেন। বর্ষায় নদীতে পানার চাপের সমস্যার কথা ভেবে সেতুর মাঝে প্রায় ৪২ ফুটের পিলার তৈরি করলেন। সেই অংশ মজবুত করতে দেওয়া হয়েছে লোহার তারের টান। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে তৈরি হল দাসপুরের এই সেতু। গোপাল মল্লিকের উদ্যোগে তৈরি এই সেতু পেয়ে খুশি গ্রামের মানুষজন।
আরও পড়ুন: মমতার মঞ্চে অপরূপাকে উঠতে না দেওয়ার অভিযোগ কল্যাণের বিরুদ্ধে
গোপাল মল্লিক একজন পেশায় কৃষক। সেই সঙ্গে কাঁসাই নদীর উপর খেয়া পারাপার করেন। একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও প্রতি বর্ষায় সেই সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় এবার স্থায়ীভাবে লোহার পিলার দিয়ে তৈরি করলেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে তৈরি কাঠের সেতু। যদিও পারাপারের জন্য ধার্য করা হয়েছে কিছু টাকা। তবে যাই হোক গোপালবাবুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামের মানুষজন।
আরও খবর দেখুন