কলকাতা: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। রোদের তেজ যেন বেড়েই চলেছে।সূর্যের তাপে গা হাত পা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।অনবরত ঘাম হচ্ছে। আর সঙ্গে তেষ্টায় গলা শোকাচ্ছে সকলের। নানা প্রয়োজনে খটখটে রোদ মাথায় নিয়েই বেরোতে হচ্ছে বাইরে। এ জন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রচণ্ড গরমে যেকোনও মুহূর্তে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
চটজলদি আরাম পেতে ডাবের জল কিংবা কোল্ড ড্রিংকেই মন ভোলাচ্ছে মানুষ। কিন্তু তা কতক্ষণ? গরমে এসব সাধারণ ব্যাপার হলেও হাফ সেঞ্ছুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাপমাত্রার এই পরিবর্তনে কীভাবে নিজেকে সজাগ ও সতেজ রাখা যাবে তা জানাল হাওয়া অফিস।ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহ চলবে আরও বেশি দিন ধরে।৪০ ডিগ্রির ওপরে উথবে তাপমাত্রা। ফলে এই পরিস্থিতিতে সকলের স্বাভাবিক এবং সুস্থ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
দেখা যাক এই গরমে কী করবেন আর কী করবেন না?
- গরমে বার বার ঘাম হওয়ায় দেহে জলশূন্যতা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দিছেছন চিকিৎসকেরা।
- শরীরে জল, সোডিয়াম পটাশিয়ামের পরিমাণ সমান রাখতে সঙ্গে রাখতে হবে ওআরএস।
- যেকোনও ধরণের পানীয় খাওয়াই ভালো। যেমন লেবুর রস, ডাবের জল, লস্যি, সরবত, নুন-চিনির জল। এ জাতীয় খাবার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
- সূর্যের তাপ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা, টুপি, সানগ্লাস, হালকা রঙের কাপড় বা ওড়না।
- বাড়ি থেকে বেরানোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।যা ত্বককে ট্যান থেকে রক্ষা করবে।
- পোশাকের ক্ষেত্রে গরমে সজাগ থাকতে হবে। হালকা রঙের ঢিলে ঢালা পোশাকই ভালো গরমের সময়।কালো রঙের পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে।
- যাঁদের হার্ট, কিডনি, যকৃতের সমস্যা আছে তাঁদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অতিরিক্ত জল খাওয়া উচিত।
- বয়স্ক এবং বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়টা বাড়িতে থাকলেই ভালো।
- বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ৪ টে পর্যন্ত রোদে না বেরানোর নির্দেশ। যদি একান্তই দরকার পরে তাহলে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে বেড়ানোই কাম্য।
- খালি পায়ে না বেরোনোই ভালো।
- উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার, মশলা, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
- বাড়ির পোষ্যদের দুপুরে বাইরে বেরাতে না দেওয়াই ভালো। তাদেরও তেল মশলা জাতীয় খাবার খেতে না দেওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন Weather Update: স্বস্তি নেই! চলতি সপ্তাহে আরও বাড়বে তাপমাত্রা, সতর্কতা