কলকাতা: তাপমাত্রা কমলেও বঙ্গে অধরা শীত (Cold)। সোমবার থেকে বাংলায় পারদপতনের পূর্বাভাস (Forecast) থাকলেও, দেখা নেই শীতের। এদিকে কনকনে ঠান্ডা ছাড়াই কেটেছে মকর সংক্রন্তি। সোমবার (Monday) শহর কলকাতার সর্বনিম্ম তাপমাত্রা (Minimum temperature) ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Maximum temperature) ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে কলকাতার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে আকাশ। তবে সোমবার সকালে ব্যাপক কনকনে হাওয়া শুরু হয়। তাপমাত্রার পারদ যাই থাক হিমেল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হয় শহরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে ৯৪ শতাংশ। বুধবার থেকে পারদ ফের ঊর্ব্বমুখী হবে। মঙ্গলবারের পর, রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, মকর সংক্রান্তির আগের কয়েক দিন কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বাকি জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। সাময়িক ভাবে উধাও হবে শীত। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমেছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প উষ্ণ বাতাস প্রবেশ করছে রাজ্যে। সেই কারণেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে জানিয়েছিল মৌসম ভবন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই রাজ্যে ধীরে ধীরে ফের কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: Jhalda Municipality Election: ঝালদা পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে, জারি ১৪৪ ধারা
এদিকে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে উত্তরবঙ্গবাসী। শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন অঞ্চল ঢেকে গিয়েছে কুয়াশায়। রাস্তায় খুব একটা লোকজনেরও চলাফেরা নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র সকালের দিকে স্কুল বাস চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। শীতের প্রকোপে অধিকাংশ দোকানপাটও দেরিতে খোলে। আগামী দু-তিন দিন দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে। দুদিন ঘন কুয়াশার সতর্কতাও জারি হয়েছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। পাশাপাশি সিকিমের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিকিমে তুষারপাত এবং হালকা বৃষ্টিপাতও হতে পারে। ফলে আরও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে।
আগামী চার-পাঁচ দিন কুয়াশার দাপট থাকবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড় দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও শূন্যে গিয়ে ঠেকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধবার পর্যন্ত চরম শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি রয়েছে রাজস্থানে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত, দুদিনের চরম শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়ের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতেও। আগামী পাঁচ দিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়ে শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে। বুধবার পর্যন্ত শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে উত্তরাখন্ড এবং রাজস্থানেও।