বিষ্ণুপুর: ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে গুলি বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। আহত এক । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত বিষ্ণুপুর। অভিযোগ, শনিবার রাতে শাসক দলের বীরেন মণ্ডল এবং বেতাল মণ্ডল দুই নেতার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাগি এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি। একই সঙ্গে চলে ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি। ঘটনায় আহত এক। এলাকার চতুর্দিকে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমের স্প্রিংটার-সুতলিতে। আতঙ্কিত স্থানীয়রা। এক জনকে আটক করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ রয়েছে শাসক দলের বীরেন মণ্ডল এবং বেতাল মণ্ডলের গোষ্ঠীর। সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয় শনিবার রাতে। অভিযোগ, বীরেন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কারণে কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচে বীরেন মণ্ডল ।
কিন্তু বীরেন মণ্ডলের সঙ্গে থাকা দুই প্রতিবেশী প্রদীপ নস্কর ও প্রভাত গায়েনকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় ফেলে চলে বেধড়ক মারধর করে। প্রভাতকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় মারে। প্রাণ বাঁচিয়ে প্রদীপ নস্কর পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল। গুলি গিয়ে লাগে প্রদীপ নস্করের বাম পায়ের উরুতে।
আরও পড়ুন- Dinhata Shootout: দিনহাটার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা স্থিতিশীল, বিজেপি নেতার গ্রেফতারের দাবি উদয়নের
মুড়িমুড়কির মতো বোমা ও গুলির আওয়াজের সঙ্গে চলে সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি। ছুটে আসে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি বুঝে চম্পট দেয় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। স্থানীয়রা ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিস গুলিবিদ্ধ প্রদীপ নস্করকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রদীপের শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে স্থানান্তরিত করে ।