ঝালদা :ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নরেন কান্দু, দীপক কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান প্রামাণিককে বুধবার জামিন দিল না আদালত। অভিযুক্তদের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ঝালদা কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ক্রমশই জাল গোটাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মৃত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমাকেও।
অন্যদিকে তপন কান্দু খুনের ঘটনার গ্রেফতার করা হয়েছিল নরেন কান্দু, দীপক কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান প্রামাণিককে। এরপর অভিযুক্তদের ১৪ জেল হেফাজত হয়। বুধবার ধৃতদের হেফাজতের মেয়াদ পূরণ হলেও তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিযুক্তদের জামিন দেয়নি। সূত্রের খবর, সকল অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- BSF Ghojadanga: বিএসএফের মহিলা জওয়ানের ইনসাস রাইফেল ও গুলি ছিন্তাই ঘোজাডাঙায়
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।