ওয়াশিংটন: জ্যাক ডোরসে (Jack Dorsey)। টুইটারের স্রষ্টা ও প্রাক্তন কর্ণধার (Twitter Founder and Former Owner)। ২০০৬ সালে তিনি যথন মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটার (Micro-Blogging Website Twitter) শুরু করেছিলেন, তখন অনেকেই ভাবতে পারেননি ১৭ বছর পর আজ এই জায়গায় পৌঁছবে তাঁর সৃষ্টি। বর্তমানে তাঁর সেই সংস্থা মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে। গত অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টেসলা ও স্পেসএক্স কর্ণধার (Tesla and SpaceX Owner) এই সংস্থা অধিগ্রহণ (Acquire) করেছেন। তারপর থেকে প্রায় নিত্যদিনই খবরের মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার (California) এই সংস্থা। কখনও বোর্ড মেম্বারদের (Board Members) তাড়ানোর জন্য, কখনও আবার গণছাঁটাইয়ের (Mass Layoffs) কারণে, কিংবা ব্লু টিকের (Blue Tick) জন্য ইউজারদের (Users) থেকে সাবস্ক্রিপশন বাবদ অর্থ আদায়ের জন্য। ইলন মাস্কের সিদ্ধান্তকে অনেকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকে সমর্থন করেন না। কিন্তু কী বলছেন টুইটারের জনক?
আরও পড়ুন: India | Russian Crude Oil | সস্তা দরে রাশিয়ার তেল, ভবিষ্যতে মূল্য চোকাতে হতে পারে ভারতকে!
টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোরসে টুইটার পরিচালনায় এলন মাস্কের নেতৃত্ব (Leadership) নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মার্কিন ধনকুবের এই সংস্থা চালানোর জন্য আদর্শ ব্যক্তি নন (Not A Ideal Person)। টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে তাঁর বিরত থাকা উচিত ছিল। সম্প্রতি ব্লুস্কাই (BlueSky) নামে টুইটারের মতোই একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম (Social Network Platform) শুরু করেছেন জ্যাক ডোরসে। সেখানেই তাঁকে জানতে চাওয়া হয়েছিল মাস্ক সম্পর্কে। তার প্রত্যুত্তরে একাধিক বক্তব্য রেখেছেন জ্যাক। এখানে উল্লেখ্য, অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞই (Tech Experts) বলছেন, ব্লুস্কাই আগামী দিনে টুইটারের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ (Potential Rival) হয়ে উঠবে।
একসময় মাস্ক সম্পর্কে অনেক অনেক ভালো কথা বলেছিলেন জ্যাক ডোরসে। তিনি প্রশংসা করে বলেছিলেন, এলন যোগ্য ব্যক্তি টুইটার কেনার জন্য। কিন্তু বর্তমানে তাঁর তৈরি কোম্পানিতে যা চলছে আর দুনিয়া জুড়ে যা ঘটছে, তাতে তিনি বলছেন, এই সংস্থা মাস্কের কেনা উচিত হয়নি। বরং ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়ে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত ছিল। কোম্পানির বোর্ড মেম্বারদেরও উচিত হয়নি, এলনকে টুইটারের কেনার জন্য জোর করা। মাস্কের যাবতীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জ্যাক ডোরসে বলেছেন, তিনি যা ভেবেছিলেন, তা পুরোপুরি উল্টো হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে থেকে টুইটারের হস্তান্তর হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পর্যাপ্ত অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করার পর গত বছর এপ্রিলে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি সম্পূর্ণরূপে টুইটারে কিনে নিতে চান। বোর্ড সদস্যরা প্রথমে রাজি না হলেও, পরে তাঁর দাবি মেনে নেন। বলা হয়েছিল, চুক্তির বিনিময়ে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবেন এলন এবং চুক্তি ভঙ্গ করলে তাঁকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হবে। এরপর গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে চুক্তি সম্পন্ন করেন মাস্ক। তারপর সংস্থার সিইও (CEO) হিসেবে ক্ষমতা বসার পর এক ধাক্কায় সমস্ত বোর্ড মেম্বার বরখাস্ত (Sack) করেন এবং সংস্থায় গণছাঁটাই আরম্ভ করেন খরচে লাগাম টানতে। গণছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও, ২০২৩ সালে প্রায় সব প্রযুক্তি সংস্থাই তাঁর দেখানে পথে চলেছে এখনও পর্যন্ত।