উত্তরকাশী: উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Crash) উদ্ধারকাজ নিয়ে চমকপ্রদ, ভীতি সৃষ্টিকারী কোনও খবর সম্প্রচারে বেসরকারি চ্যানেলগুলিকে সংযম প্রকাশের পরামর্শ দিল সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা এই পরামর্শে বলা হয়েছে, বিশেষত শিরোনাম এবং ভিডিও প্রচারের সময় আটক ব্যক্তিদের পরিবারের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা রাখা উচিত।
পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট (Uttarakhand High Court) সুড়ঙ্গ ধসে আটক ৪১ জন কর্মীকে উদ্ধারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আগামিকালের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, খননকার্যের জন্য নিয়ে আসা বিশাল পাইলিং মেশিন সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তার কারণে সুড়ঙ্গের মুখ পর্যন্ত যেতে পারছে না।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশকে তুলোধনা সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, ১০ দিনের মাথায় মুখ দেখা গেল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিকের। সোমবারই উদ্ধারকারী দল ৬ ইঞ্চির পাইপ ভিতর অবধি পৌঁছাতে সমর্থ হয়েছিল। তার ভিতর দিয়ে গরম খিচুড়ির মতো শক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে তাঁদের ৪ ইঞ্চির একটি পাইপ দিয়ে অক্সিজেন এবং শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে আটক শ্রমিক-কর্মীদের প্রথম ভিডিয়ো ছবি সামনে এল। আর তাতেই খুশি আটকদের পরিবার। ভিডিয়ো ছবিটি তোলা হয়েছে ওই ৬ ইঞ্চি পাইপের মধ্য দিয়ে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা ঢুকিয়ে।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কর্মীরা সাদা ও হলুদ রঙের হেলমেট জাতীয় টুপি পরে রয়েছেন। তাঁদের জন্য পৌঁছে দেওয়া খাবার তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তাও বলছেন। এই ছবি সামনে আসতেই আটক কর্মীদের পরিবারে এখন খানিকটা হলেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক কর্তা জানান, আমরা বড় মুখওয়ালা বোতল আনিয়েছি। যাতে তার ভিতরে কলা, আপেল, খিচুড়ি ও ডালিয়ার মতো পুষ্টিকর খাবার পাঠানো যায়।
ঘটনাস্থলে ডাক্তার ছাড়াও রয়েছেন বিশিষ্ট মনস্তাত্ত্বিকরা। তাঁরা লাগাতার শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে চলেছেন। কারণ এই অবস্থায় তাঁদের সুস্থ-সবল থাকাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য মনোবিদরা তাঁদের প্রতিদিন হাঁটতে, যোগাভ্যাস করতে বলেছেন। নিজেদের মধ্যে গল্প-রসিকতা করে সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, ১০ দিন বন্ধ সুড়ঙ্গে আটক থাকার পর তাঁদের আর হাসিখুশি থাকা সম্ভব কিনা তা সংশয়ে রয়েছে।
অন্য খবর দেখুন