বসিরহাট: ভরা কোটালে পূবালি হাওয়ার জেরে একাধিক নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাত জাগছে সুন্দরবনের মানুষ। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফুসছে রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ইছামতি, বেদনি, ছোট কলাগাছি সহ একাধিক সুন্দরবনের নদী। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালির ছোট শেয়ারাধানগরের সেয়ারা গ্রামের পাশেই ডাঁসা নদীবাঁধে প্রায় এক কিলোমিটার বিপর্যস্ত। কোথাও নদীবাঁধে ফাটল, আবার কোথাও বড় বড় ফোপরা। কোথাও আবার বাঁধের মাটি ঝড়ে পড়ছে।
নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। তাই চিন্তার ভাঁজ আশপাশের বেশকিছু গ্রামের মানুষের। ভোলা খালী, নিত্য বেরিয়া, রাধানগর, রায়পুর, ঘটিয়া হারা ছেড়াখালি সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের দিন কাটছে আশঙ্কায়। প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। যে কোনও সময় ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে এই সব গ্রামের মানুষেরা। রাতের ঘুম কেড়েছে বড় থেকে ছোটদের।
অন্যদিকে রাধানগর গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার নদীবাঁধের রাস্তা ধীরে ধীরে ডাঁসা নদী গিলে খাচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, বারবার পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরে বলে কোনও ফল হয়নি। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের টাকাতে বাঁধ মেরামতির কাজ করছে। কিন্তু বড়সড় বিপর্যয় হলে সেই বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। দ্রুত এই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে রক্ষা নেই। তাঁদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করুক।
আরও পড়ুন : Raj Bhavan: রাজভবন মেলার মাঠ না খেলার মাঠ?
বসিরহাট মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, বসিরহাট মহকুমায় মোট ৭৫০ কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে ১২০ কিলোমিটার কংক্রিটের বাধ তৈরি করা হয়েছে। কাজ এখনও চলছে। তবে সেগুলিও ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে।