কেতুগ্রাম: রেণু তখন লেখাপড়া করছেন। দেখা হয়েছিল সরিফুলের সঙ্গে। বন্ধু্ত্ব আস্তে আস্তে গাঢ় হয়। সরিফুলের প্রেমে তখন মশগুল রেণু। দুই বাড়িতেই জানাজানি হয়।
শুরু হয় কথা। মেয়ের স্বপ্ন ছিল একটাই। সে যেন চাকরি বিয়ের পর চাকরি করতে পারে। তখন হবু শ্বশুর বাড়ি রেণুর সেই কথা মেনেও নিয়েছিল।
শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়। ঘটা করে বিয়ে হয় সরিফুল এবং রেণু খাতুনের। বিয়েতে জামাইকে একটি স্কুটি উপহার দিয়েছিলে রেণুর বাবা। ছিল আরও অনেক কিছু। নগদ এক লাখ। আট ভরি গয়না।আসবাব। বাদ ছিল না কোনও কিছুই।
বিয়ের পরই মোহভঙ্গ হতে শুরু করে রেণুর। বাড়ির বউ চাকরি করবে, বেঁকে বসেন সরিফুল আর তাঁর বাড়ির লোকজন। সে-কথা বাড়ির লোকজনকে বেশ কয়েক দফায় জানিয়েছিলেন রেণু। মেয়ের কথায় তেমন পাত্তা দেননি রেণুর বাবা-দাদারা।
শনিবার রাতে কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের উপর তাঁর স্বামী হামলা চালান। কেটে নেয় হাত। তার পরই জামাই এবং মেয়ের শ্বশুর বাড়ির দিকে আঙুল তুলেছেন রেণুর দাদা রিপন শেখ। রিপনের কথায়, বোনটা আগেই চাকরি নিয়ে অনেক কথা বলেছিল। কথাগুলো শুনলে আজ আমার বোনের এই অবস্থা হতো না। সে সময় কত কিছু দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বোনের। আর আজ…। আসলে রেণু ভাল চাকরি করুক, কোনও দিনই চায়নি ওর বর।
আরও পডুন: East Burdwan: ঘুমন্ত স্ত্রী’র কবজি কাটার আগে ইয়ার-দোস্ত নিয়ে ফুর্তি করছিল সরিফুল