বাঁকুড়া: আজব চোরের আজব কাণ্ড। চোর এল চুরি করতে। ইলেক্ট্রিক কেটলিতে চা বানিয়েও খেল। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের ভিতরে ঢুকে তছনছ করল ফাইল। শেষে কিছু না পেয়ে সেই ইলেক্ট্রিক কেটলি নিয়েই চম্পট চোরের দলের।
ডিএম অফিস এবং জেলা আদালত চত্বরেই রয়েছে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। রবিবার রাতে ওই দফতরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সমস্ত আলমারি ভাঙে চোরেরা। তছনছ করে অফিসের নথিপত্র। শেষে ইলেক্ট্রিক কেটলিতে চা বানিয়ে আয়েশ করে খাওয়া হয় তা। পরে সেই কেটলি নিয়েই চম্পট দেয় হতাশ চোরের দল। সোমবার বিষয়টি নজরে আসে বিষয়টি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনি ও রবিবার ছুটি থাকায় ওই দফতরে কর্মীদের আনাগোনা ছিল না। এদিন সকালে অফিসে এসে কর্মীরা দেখেন, পিছনের দিকে থাকা একটি দরজার তালা ভাঙা। প্রথমে চুরির সন্দেহ হয় তাঁদের। পরে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। আরও ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, সমস্ত আলমারির দরজা ভাঙা। টেবিলে থাকা নথিপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। ড্রয়ারের পয়েন্ট অফ সেল মেশিন রাখা টেবিলের উপর। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশও অক্ষত রয়েছে। শুধু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একটি জিনিস। আর তা হল ইলেকট্রিক কেটলি।
আরও পড়ুন: Nathuram Godse street: উদুপিতে নাথুরামের নামে রাস্তা নিয়ে সমালোচনা, দায় এড়াল বিজেপি
আরও দেখা যায়, চা ও চিনির পাত্রের ঢাকনা খোলা। সেগুলিতে চা ও চিনির পরিমাণও অনেক কম। কর্মীদের একাংশের ধারণা, গোটা অফিস তন্নতন্ন করে খুঁজেও টাকা-পয়সা না পেয়ে হতাশ হয়ে চোরের দল চা খেয়ে কেটলি নিয়ে পালিয়েছে।
পরিবহন দফতর সিসি ক্যামেরায় মোড়া থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা কেন হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এলাকায় নৈশরক্ষী মোতায়েন ছিল। তারপরও কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। টাকা-পয়সা নাকি কোনও ফাইল চুরিই উদ্দেশ্য ছিল চোরদের, তা জানার চেষ্টা করছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস। কোনও ফাইল নিখোঁজ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।