কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মাওবাদীদের ডাকা বাংলা বনধের প্রভাব পড়ল ঝাড়গ্রাম জেলা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। যার ফলে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির বিনপুর, শিলদার বিভিন্ন এলাকায় বনধের ভাল প্রভাব পড়েছে। বনধের প্রভাব পড়েছে ঝাড়গ্রাম শহরেও। সরকারি বাস হাতে গোনা দুই একটি চললেও রাস্তায় একটিও বেসরকারি বাস নামেনি। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, স্পেশাল হোমগার্ড পদে ক্রিমিনালদের নিয়োগের প্রতিবাদে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুক্রবার বাংলা বনধের ডাক দিয়ে মাওবাদীর বেশ কিছু পোস্টার পড়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায়। পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও পোস্টার পড়ে মাওবাদীদের। এমনকী সেই বনধ না মানলে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়ে হুঁশিয়ারি পোস্টারও দেয় মাওবাদীরা। অবশ্য পরে পুলিস এসে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে।
তবে বনধের ভালই প্রভাব দেখা গেল শুক্রবার। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন রাস্তায় মানুষজনকে সেভাবে দেখা যায়নি। যার ফলে মানুষের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। যানবাহন চলাচল না করায় সমস্যায় পড়েছেন বেশকিছু নিত্যযাত্রী। যার ফলে তাঁরা কর্মস্থলে যেতে পারছেন না বলেও জানান।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder CBI: তপন কান্দুর মৃত্যুরহস্য সমাধানে ঝালদার আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই
অন্যদিকে, মাওবাদীদের ডাকা বাংলা বনধে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে পড়ল প্রভাব। এক সময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত রাইপুর, সারেঙ্গা, ফুলকুসমা, ঝিলিমিলি, রানিবাঁধ-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। দোকান-বাজারও সকাল থেকে খোলেনি।