রানাঘাট: শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে যাওয়ায় আদালত থেকে টেনে বের করে স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারল স্বামী। ঘটনায় মহিলার মা ও কাকাও জখম হয়েছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ভিড়ে ঠাসা রানাঘাট আদালত চত্বর থেকে এক মহিলাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রশ্নের মুখে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাহেরপুর থানার টাকশালের সোনিয়ারি মণ্ডলের সঙ্গে ধানতলার চাপড়ার বাসিন্দা সফিউদ্দিন মণ্ডলের। সোনিয়ার বাড়ির লোকের অভিযোগ, স্ত্রীকে নির্যাতন করত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোক। সেই কারণে তিন মাস আগে সোনিয়া তাঁর বাপেরবাড়িতে চলে আসেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার জন্য আজ, মঙ্গলবার আইনজীবী তাঁকে রানাঘাট আদালতে আসতে বলেন। সেখানে উপস্থিত হতেই স্বামী সফিউদ্দিন মণ্ডল তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় অদূরেই নবারুণ সংঘের মাঠে।
খোঁজাখুঁজি করে সেখানে পৌঁছন সোনিয়ার মা এবং কাকা। সেখানেই বাদানুবাদ চলাকালীন পকেট থেকে অ্যাসিডের শিশি বের করে ছুড়ে মারে স্ত্রী সোনিয়ার মুখে। ওই গৃহবধূর মা এবং কাকা বাঁচাতে গেলে তাঁদের গায়েও আ্যসিড লাগে। দগ্ধ অবস্থায় বর্তমানে ওই গৃহবধূ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিস
পুলিস জানিয়েছে, আজ সকালে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে আসেন সোনিয়া ও তাঁর পরিবার। তখন একটি টোটোয় চেপে সেখানে আসে সফিউদ্দিন। এসেই আদালত চত্বর থেকে স্ত্রীকে টেনে টোটোয় তোলে। স্ত্রী চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তারপর টোটোটি নিয়ে চলে যায় নবারুণ সংঘের মাঠে। এদিকে, সোনিয়ার মা ও কাকা খোঁজাখুঁজির পর সেখানে এসে উপস্থিত হন। তাঁরা দেখেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছে। তাঁরা এগিয়ে যেতেই পকেট থেকে অ্যাসিড বের করে স্ত্রীর মুখে ঢেলে দেয় সফিউদ্দিন। কিছুটা অ্যাসিড মা ও কাকার গায়েও এসে পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। টোটো চালকের খোঁজ চলছে।