কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মনোনয়ন পেশের শেষ দিনেই বজবজ পুরসভা(Budge Budge Municipality Win) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করল তৃণমূল। বজবজে মোট ২০টি আসন। সূত্রের খবর, ৮টি ওয়ার্ডে ১৩ জন বিরোধী প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করেন। এর মধ্যে বামফ্রন্ট ৮টি, কংগ্রেস ৩টি ও বিজেপি দুটিতে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল। দলের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর খান বলেন, বাকি যে আটটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সেখানেও প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব বলেন বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি।
চার বছর আগে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ উঠেছিল, বহু জায়গায় বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করতেই দেওয়া হয়নি। আবার অনেক ক্ষেত্রে মনেনয়নপত্র পেশ করা গেলেও পরে দোর করে তা প্রত্যাহার করানো হয়েছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কম বিতর্ক হয়নি। তার আগে বাম জমানাতেও পঞ্চায়েত কিংবা পুরভোটে অনেক আসনে বিনা লড়াইয়ে জেতার নজির রয়েছে বাম প্রার্থীদের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বামেদের সেই পরম্পরা বজায় রেখেই তৃণমূল বিনা লড়াইয়ে জেতার খেলা শুরু করেছে চার বছর আগের পঞ্চায়েত ভোট থেকে।
আরও পড়ুন: West Bengal Civic Polls: ডিম-ভাত হয়েছে, মাছ-ভাত হলে ভালো হত, ফের বিতর্কিত মন্তব্য উদয়নের
শুধু বজবজই নয়, বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভাও তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করতে চলেছে। আরও অনেক পুরসভাতেই বহু আসনে তৃণমূল বিনা লড়াইতেই জিতে যাবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বুধবার রাতেই চিত্রটা অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বজবজ পুরসভা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানকার সাংসদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের যে দুই প্রার্থী তালিকা নিয়ে এত বিভ্রান্তি, তার প্রথম তালিকা অনুযায়ী তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রথম তালিকা নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় তালিকাই আসল। নেত্রীর নির্দেশ মেনেই দলের মহাসচিব পার্থ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ওই তালিকার বাইরে যাঁরা ভোটে দাঁড়াবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্থর হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই বজবজ, ডায়মন্ড হারবার সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতারা জানান, প্রথম তালিকা মেনেই তাঁরা প্রার্থী দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দল কবে কী ব্যবস্থা নেয়, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।