হাওড়া: বেঞ্চের সামনা-সামনি বসে দুই পড়ুয়া৷ একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলে ঝগড়া করছে৷ আসতে আসতে সেটাই মারামারি (two School Girl’s Fighting)৷ একদম চুলের মুঠি (Hair Puling) ধরে একটান আরেকজনকে৷ হাওড়ার জগদীশপুর হাইস্কুলে (Howraj Jagadishpur High School) দুই ছাত্রীর এমন চুলোচুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷
স্কুল খুলছে৷ স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে৷ এর মধ্যে এই চুলোচুলির ভিডিয়ো দেখে অনেকেই টিপ্পনি কাটতে ছাড়েননি৷ বলছেন, ‘এই তো রাজ্যের শিক্ষার হাল৷’ কিন্তু এটাই কি স্বাভাবিক ছিল না?
অষ্টম-দ্বাদশ স্কুল খুলেছে৷ স্কুল শুধু পড়াশোনার নয়৷ বন্ধুত্বের৷ ঝগড়া৷ অভিমান৷ গল্পের৷ স্কুলে গিয়ে মারামারি করেনি এমন উদাহরণ বোধহয় খুব কম জনই করতে পারে৷ করোনা এই শৈশবেই থাবা বসিয়েছিল৷ সুস্থ স্কুল জীবন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ স্কুলের মারামারি হারিয়ে গিয়েছিল৷ আবার সব স্বাভাবিক হচ্ছে৷ স্কুল খুলছে৷ পড়াশোনা হচ্ছে৷ ব্ল্যাকবোর্ডে শিক্ষকেরা চক নিয়ে লিখছেন৷ চকের ধূলোয় হাত সাদা হচ্ছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সকলের৷ শুধুই কি পড়াশোনা? স্কুলে গিয়ে একটু মারামারি হবে না৷ না হলে শৈশব তো বাক্সবন্দি হয়ে যাবে৷
আরও পড়ুন: WBSSC High Court: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, ৫৭৩ এসএসসি গ্রুপ-ডি কর্মীর নিয়োগ বাতিল
এখানেই আর এজন্যই হয়তো এমন চুলোচুলি কে কিছুটা হলেও ইতিবাচক দেখছেন পবিত্র সরকারের মতো শিক্ষাবিদেরা৷ বলছেন, স্কুলে গিয়ে মারামারি না হলে ছাত্র জীবন তো হারিয়ে যাবে৷ এটা ঠিক, সবকিছুর একটা সীমারেখা দরকার৷ কখনই তা লঙ্ঘন করা উচিৎ নয়৷ আবার এটাও মনে রাখতে হবে, ছোট ছোট পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে ঝগড়া করবে না, একটু রাগ অভিমান করবে না সেটা কি চলে? এরপরই পবিত্রবাবুর প্রশ্ন, এই ঝগড়াকে নেতিবাচক না দেখে শৈশব পুরনো ছন্দে ফিরছে এভাবে দেখলে ক্ষতি কি? তবে অসভ্যতামি সমর্থনযোগ্য নয়৷