কয়লাখনিতে আটকে মৃত্যু হল ১৩ জন শ্রমিকের। উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের ঘটনা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাইসিয়ান কাউন্টির দহংচাই কয়লাখনি লাগোয়া একটি কুয়োর মধ্যে থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। এরই মধ্যে তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
১০ জুন ওই খনিতে আচমকা বন্যা দেখা দেয়। সেইসময় খনিতে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। খনি থেকে বেরোনোর রাস্তাগুলি ভেসে যাওয়ায় কেউ বাইরে বের হতে পারেননি। সেদিন থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ৬ দিন ধরে হাজারেরও বেশি কর্মী উদ্ধারকাজ চালান। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
আরও পড়ুন: করোনাপর্বে জঙ্গিদের অর্থ জোগানের অভিযোগ পাক সংগঠনের বিরুদ্ধে
এদিকে আচমকা বন্যা কীভাবে হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ১৩ জন সন্দেহভাজনকে আটকও করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার করার সময় খনিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দেখতে পান। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ দল পাঠিয়েছে প্রশাসন।
৯ জুন থেকে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই কারণে উদ্ধারকাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণটিকায় শীর্ষস্থানে বাংলা
তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানান, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ৬ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হাজারেরও বেশি কর্মী দিবারাত্র এই কাজে যুক্ত রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৩ জন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।
পৃথিবীর বৃহত্তম কয়লা উৎপাদনকারী দেশ চীন৷ তবে চীনে শিল্পখাতে নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ বেশ দুর্বল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় কয়লাখনিগুলিতে প্রায়শই দুর্ঘটনা হয়। ২০০৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় ওই বছর ২৬৩১ জন শ্রমিক প্রাণ হারান।